ইসরায়েলে প্রতিনিধিদল পাঠাল মিশর

২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে মিশর। দুই কর্মকর্তা বলেছেন, গাজা ভূখণ্ডে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করার আশায় এই প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে মিশর সতর্ক করেছে, মিশর সীমান্তে অবস্থিত গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলের সম্ভাব্য আক্রমণ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

মিশরের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা আব্বাস কামেল এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং গাজায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে “নতুন লক্ষ্য” নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মিশরের এক কর্মকর্তা এমনটি জানিয়েছেন। খবর এপির

ইসরায়েলের হামলা দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তত বাড়ছে। গাজায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলের উপর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।

মিশরের ‌ওই কর্মকর্তা বলেছেন, শুক্রবারের বৈঠকে প্রথমে নজর দেওয়া হবে ফিলিস্তিনি বন্দি ও হামাস কর্তৃক আটককৃত জিম্মিদের অল্পসংখ্যায় বিনিময় এবং বেশি সংখ্যক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে তাদের বাড়িতে “ন্যূনতম বিধিনিষেধসহ” ফিরিয়ে আনা।

তিনি বলেন, আশা রয়েছে যে, এরপরই যুদ্ধ শেষ করার বৃহত্তর চুক্তির লক্ষ্যে বোঝাপড়া ও সমঝোতা শুরু হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা একটি নিষ্পত্তির জন্য কাজ করছেন যাতে উভয় পক্ষের প্রধান দাবিগুলোর সদুত্তর পাওয়া যায়।

হামাস বলেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে তারা সরবে না এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে। ইসরায়েল উভয় দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েল বলছে, হামাসকে পরাস্ত না করা পর্যন্ত তারা সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে এবং এরপরে গাজায় নিরাপত্তাগত উপস্থিতি বজায় রাখবে তারা।

বৈঠকের আগে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইমকে সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের দিক থেকে নতুন করে কিছু বলার নেই।”

এদিকে রাফাতে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি বর্তমানে এই শহরে আশ্রয় নিয়েছে।

গাজা ও মিশর সীমান্তে অবস্থিত রাফা শহর। মিশরের সেই কর্মকর্তা বলেছেন, সে দেশের জেনারেল গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কামেল স্পষ্ট করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন যে সীমান্তে ইসরায়লে সেনা মোতায়েন করলে মিশর তা “সহ্য করবে না।”

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।