বিপর্যস্ত কেনিয়ায় এবার কলেরার প্রাদুর্ভাব

০৮ মে, ২০২৪

কয়েক সপ্তাহের বৃষ্টি এবং বন্যায় বিপর্যস্ত কেনিয়ায় এবার কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় তানা রিভার কাউন্টিতে ৪৪টি কেস শনাক্ত হয়েছে। বন্যায় যেসব এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি একটি। এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সিটিজেন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কেনিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী স্টিফেন জ্যাকসন বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, সরকারি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, এর আগেও কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে এটা একটি উদ্বেগের বিষয়। কলেরা একটি তীব্র সংক্রমণ যা দূষিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটা শিশুদের জন্য বেশি বিপজ্জনক।কেনিয়া সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশটির গণ্যমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও দুই লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে পানিবাহিত রোগ কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রাণঘাতী এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তাই বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও’র পক্ষ থেকে বলা হয়, গত দু’তিন বছর ধরে বিভিন্ন দেশে কলেরার অনাকাঙ্খিত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

ডব্লিউএইচও’র হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখে। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।