০৭ অক্টোবর, ২০২০
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক শিক্ষার্থী উলফাত আরা তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জামিরুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার তিন্নির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানান কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার। তিনি বলেন, তিন্নির ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আর এটি ছিল আত্মহত্যা। চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে বড় বোন মিন্নির সাবেক স্বামী একই গ্রামের কনুরুদ্দীনের ছেলে জামিরুল তিন্নিদের বাড়িতে দুই দফা প্রবেশ করে হামলা-ভাঙচুর ও তিন্নির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে রাত ১২টার দিকে শোয়ার ঘর থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নির মরদেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।
স্বজনদের অভিযোগ, সাবেক দুলাভাই জামিরুল ও তার সহযোগীরা জোর করে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে তিন্নীর শোবার ঘরে ঢুকে তাঁকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করেন। এরপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিন্নি।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া এলাকায় নিজেদের দোতলা বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে তিন্নিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শেখপাড়া গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর মেয়ে তিন্নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার তিন্নীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।