পাবনায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ৫ জন আহত

পাবনায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ৫ জন আহত

দুই কাউন্সিলন প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে ১১ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর সদরের রাধানগর মক্তবপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে মক্তবপাড়া মোড় এলাকায় পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে ১১ নং ওয়ার্ডের উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর ফরিদুল ইসলাম ডালু ও একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী পাঞ্জাবী প্রতীকের প্রার্থী সানাউল হক সানুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল ইসলাম ডালু বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমার নারী সমর্থকদের মিছিল ও গণ সংযোগের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। হঠাৎ করেই সানাউল হক সানুর ছেলে তুহিনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক এসে হাতুরি, রড ও ধারালো অস্ত্রসহ মছিল বের করতে বাধা দেয়। আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ জানালে তারা নির্মমভাবে আমার নারী কর্মী বীনা, আরজিনা, লতিফা, ফারজানাকে পেটায়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আসার পর তার পালিয়ে যায়। পরে, পুলিশীর প্রহরায় আমরা মিছিল বের করলে মক্তব  মোড় এলাকায় তারা আবারো মিছিলে হামলা করে।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে পাঞ্জাবী প্রতীকের প্রার্থী সানাউল হক বলেন, ফরিদুল ইসলাম ডালু নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় ভেবে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। মিথ্যা রটনা করে তার সমর্থক সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে তুহিনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। সে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তবে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা সফল হবে না।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন আলী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।