কীভাবে কাজ করে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা?

কীভাবে কাজ করে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা?

এই টিকা দেওয়ার পর এটি দেহের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। কিন্তু এটি যেহেতু দেহের মধ্যে ভাইরাসের সম্পূর্ণ জিনগত উপাদান তৈরি করতে পারে না তাই এটি মানুষকে অসুস্থ করে না।

জনসন অ্যান্ড জনসনের একটি ডোজ টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে দাবি করল আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। SARS-CoV-2 ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে এই টিকা সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। এটি তৃতীয় করোনা টিকা যার অনুমোদন দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ফাইজার ও মডার্না ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকা।
 
তবে এই টিকা তৃতীয় দফার ট্রায়াল এখনও চলছে। এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। প্রাথমিক বিশ্লেষণে ৩৯ হাজার ৩২১ জনের দেহে এই ভ্যাকসিন সাড়া ফেলেছে ৬৬.৯ শতাংশ। এর অর্থ নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় দেখা গেল যে এই টিকা করোনাকে ৬৬.৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম। এই টিকার নাম Ad26.COV2.S রাখা হয়েছে। SARS-CoV-2 ভাইরাসের জিনগত উপাদান দিয়ে এই টিকা তৈরি। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে ভাইরাসের বাইরে যে স্পাইক প্রোটিন রয়েছে তার জেনেটিক কোড ব্যবহার করা হয়েছে টিকাকরণের ক্ষেত্রে। এই স্পাইক প্রোটিন মানুষের দেহ কোষে আবদ্ধ হয়ে সংক্রমণ ছড়ায়। এখনও পর্যন্ত অনেক টিকার ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে।

এই ঠিকা দেওয়ার পর এটি দেহের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। কিন্তু এটি যেহেতু দেহের মধ্যে ভাইরাসের সম্পূর্ণ জিনগত উপাদান তৈরি করতে পারে না তাই এটি মানুষকে অসুস্থ করে না। এই টিকা নেওয়ার পর কোনও মানুষ সংক্রমিত হলে এটি তার অ্যান্টিবডি তৈরি করে ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। বিশেষত Ad26.COV2.S হল এমন একটি ভ্যাকসিন যার বিকল্প ভেক্টর গঠিত হয় না। অর্থাখ মানব দেহের মধ্যে এই টিকার জিনগত উপাদান প্রতিলিপি গঠন করতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আসল ভাইরাস দেহে প্রবেশ করা মাত্রই প্রতিলিপি গঠন করতে শুরু করে দেয়। ফলে সংক্রমণ ছড়ায়। এই টিকা SARS-CoV-2 ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে স্থিতিশীল বিকল্প প্রদান করে।

Ad26.COV2.S টিকার ভাইরাল ভেক্টর অ্যাডেনোভাইরাস (অ্যাডেনোভাইরাস ২৬) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে কাজে লাগে। এই ভেক্টর জেনেটিকালি মডিফাই হয় যার ফলে এটি প্রতিলিপি গঠন করতে পারে না ও সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। এটি ছাড়া আরও অ্যাডেনোভাইরাস বেসড ভ্যাকসিন রয়েছে। ইবোলা, জাইকা, ফাইলোভাইরাস, ম্যালেরিয়া, HIV, HPV ও শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণকারী ভাইরাসের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়। -কোলকাতা২৪