ছাত্রলীগের দখলে চেয়ার, মধুর ক্যান্টিনের মেঝেতে ছাত্রদলের নেতারা

ছাত্রলীগের দখলে চেয়ার, মধুর ক্যান্টিনের মেঝেতে ছাত্রদলের নেতারা

ছবি: সংগৃহিত

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চেয়ার টেবিল দখল করে রাখায় মধুর ক্যান্টিনের মেঝেতে বসতে বাধ্য হয়েছে ছাত্রদলের নেতাকার্মীরা। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে আসলে চেয়ার-টেবিল না পেয়ে মেঝেতেই বসে প্রতিবাদ করেন। তাদের অভিযোগ, নতুন কমিটি গঠনের পর মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রলীগের সহযোগিতামূলক আচরণ পাননি।

মধুর ক্যান্টিনে সব মিলিয়ে ১০টির মত টেবিল আছে। বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ছাত্রদলের আগেই মধুতে এসে সব টেবিল-চেয়ারে বসে পড়েন। ফলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে বসার জায়গা না পেয়ে মেঝেতেই বসে পড়েন। এ সময় সেখানে ছাত্রদলের কেন্দীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগ দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন।   

পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ইকবাল হোসেন শ্যামল। তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্ব নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসার পর ছাত্রলীগ বারবার আমাদের উপর হামলা করছে। সাংবাদিকসহ আমাদের ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের কটাক্ষ করে। আজ ক্যান্টিনে আসার পর কোন চেয়ার পাইনি। তারা সব সরিয়ে রেখেছে এবং নিজেরা দখল করে বসে আছে। এ সময় শ্যামল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক চেয়ার খালি পড়ে আছে, কিন্তু আমাদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। সারা বাংলাদেশেই এমন চিত্র। 

সাংবাাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টেবিল চাপড়িয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। এতে কথা বলায় বিঘ্ন ঘটে।
 
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তাদের অভিযোগ আসলে অভিযোগ করার জন্যই। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, এখানে ছাত্রদের সাথে ছাত্রদের সহাবস্থান হবে। ছাত্র সংগঠনের কোন নিয়ম না মানলে আমরা তাদের কীভাবে সহযোগিতা করবো। 
ছাত্রদল অরাজকতা সৃষ্টি করতেই ক্যাম্পাসে আসে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্রদল ছাড়াও আরও অনেক সংগঠন মধুর ক্যান্টিনে বসে। তাদের তো কোন অভিযোগ নেই, ছাত্রদলের এত অভিযোগ কেন? তাদের কমিটির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানের নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা অমান্য করে মধুর ক্যান্টিনে আসছে।