’করানো রোগী শনাক্ত করতে পারবে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার’

’করানো রোগী শনাক্ত করতে পারবে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার’

যশোর প্রতিনিধি

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত করতে পারবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অত্যাধুনিক গবেষণাগার জিনোম সেন্টার। শুধুমাত্র রোগীর নমুনা, কিট এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দিলেই এ পরীক্ষা করা সম্ভব ।

 বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড.মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান , যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে করোনা ভাইরাস বহনকারী রোগী শনাক্তে যথেষ্ট জনবল রয়েছে। সরকারের সহায়তা পেলেই এখনই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। এ বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন সহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন ডাঃ আবু শাহীন সরজমিনে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার পরিদর্শন করেন। দেশে আমদানিকৃত কিট দিয়েই ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০ জনের পরীক্ষা সম্ভব। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে উপাচার্য সহ এ সেন্টারের সঙ্গে জড়িত সকল শিক্ষক ও গবেষক কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাড়তি জনবল সরবরাহের প্রয়োজন নেই। রোগীর নমুনা, কিট এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দিলে আমরা এটা পরীক্ষা করে ফলাফল প্রসেসিং করে দিতে পারবো। অর্থাৎ এ পরীক্ষা করার জন্য যত রকম অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজন সবই আমাদের আছে। আমাদের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের সাথেও কথা বলেছি। এখন আমরা সরকারের সাড়ার অপেক্ষায় আছি। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের এই সংকটাপন্ন সময়ে সহযোগিতা করতে সব সময় প্রস্তত।তিনি আরও বলেন, যবিপ্রবিতে যে গবেষণাগার রয়েছে সেগুলো লেভেল-২ পর্যায়ের। কিন্তু এই গবেষণাগার যদি লেভেল-৩ পর্যায়ে উন্নীত করা হয় একই সাথে সেল কালচার ল্যাবরেটরি যদি সংযোজন করা যায় তাহলে করোনা ভাইরাসের মতো সংক্রামক ব্যাধি সহ অন্যান্য রোগেরও গবেষণা করাও সম্ভব।

সিভিল সার্জন ডাঃ আবু শাহীন জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি আছে এটা জানার পর যশোর মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ দিনুল ইসলামকে নিয়ে ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় জনবল আছে এবং কিট ও সরঞ্জাম দিলে এখানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা সম্ভব । পরবর্তীতে এই বিষয়ে সিভিল সার্জন আইইডিসিআরে জানান। তারা এ বিষয়ে পরবর্তীতে সিভিল সার্জনকে জানাবেন বলে জানান।