ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোর্টে হাভার্ড

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোর্টে হাভার্ড

হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

লাইন ক্লাস করেছেন, তাঁদের ভিসা খারিজ করবে মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে একটি আদালতের দ্বারস্থ হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এমআইটি। অবিলম্বে মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত খারিজের আবেদন করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বেআইনি। এমন দাবি করে ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় বোস্টনের এক আদালতে হলফনামা দাখিল করেছে। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত খারিজের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। ৬ জুলাই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর বসিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। জানা গেছে, আদালত সাময়িক স্থগিতাদেশ দিলে এই অভিবাসন আইন ১৪ দিনের জন্য খারিজ হবে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রামক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনোর জন্যে বসবাসকারী ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। ১৪ জুলাই মার্কিন প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীরা আমেরিকায় থেকে অনলাইনে পড়াশুনো করছেন তাঁদের ভিসা প্রত্যাহার করা হবে। ইমিগ্রেশন এবং কাস্টম এনফোর্সমেন্ট বিভাগের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে নন-ইমিগ্রেন্ট এফ -১ ও এম -১ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা কেবল অনলাইনে ক্লাস করছেন তাঁদের ভিসা ফিরিয়ে নেওয়া হবে। 

 

তারা জানিয়েছে, এই জাতীয় শিক্ষার্থীদের আমেরিকায় প্রবেশের জন্যে নতুন করে আর ভিসা তো দেওয়া হবেই না, সেই সঙ্গে যেসব বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা বর্তমানে আমেরিকায় থেকে অনলাইনে পড়াশুনো করছেন তাঁদেরও আমেরিকা ছেড়ে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে। সেইসঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে একথাও বলা হয়েছে যে, যদি ছাত্র-ছাত্রীরা এই নির্দেশ না মানেন তবে তাঁদের চরম পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।

 

ইমিগ্রেশন এবং কাস্টম এনফোর্সমেন্ট বিভাগ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে যে, যাঁদের পড়াশুনো পুরোপুরি অনলাইন ভিত্তিক এই জাতীয় শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সেমিস্টারের জন্যে কোন ভিসা দেওয়া হবে না বা এই জাতীয় শিক্ষার্থীদের মার্কিন মুলুকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য এক্ষেত্রে তাদের পরবর্তী সেমিস্টারের পরিকল্পনার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি।

বেশিরভাগ কলেজই যদিও হাইব্রিড মডেলে ক্লাস করানো ঘোষণা করেছিল, তবে হার্ভার্ডের মতো কিছু বড় বিশ্ববিদ্যালয় যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অনলাইন ক্লাস সরবরাহ করার ঘোষণা দেয়।

ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন অনুসারে, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ মিলিয়নেরও বেশি বিদেশি ছাত্র রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারত, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব এবং কানাডার মতো দেশগুলোও।