করোনায় বিশ্বে মৃত্যু প্রায় ৭ লাখে

করোনায় বিশ্বে মৃত্যু প্রায় ৭ লাখে

ছবি: প্রতীকী

সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দু’কোটি ছুঁতে আর বেশি দেরি নেই। ১ কোটি ৮০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। গত চার দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লক্ষ। মৃতের সংখ্যা ৭ লক্ষের কাছাকাছি।  

দ্রুত গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা আমেরিকার। গতকাল হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমণের একটা নতুন ধাপে আমেরিকা। ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস। যেমন শহরের অবস্থা, তেমনই গ্রামের! হোয়াইট হাউস করোনা টাস্ক ফোর্সের নয়া প্রধান ডেবোরা ব্রিক্স বলেন, ‘‘এখন একটা নতুন ধরনের পরিস্থিতি। মার্চ-এপ্রিলের থেকে অনেক আলাদা। শহরের পাশাপাশি গ্রামগুলোতেও সংক্রমণ ছেয়ে গিয়েছে।’’

ব্রিক্স বলেন, ‘‘যাঁরা গ্রামীণ এলাকায় থাকেন, তাঁদের উদ্দেশে বলছি: আপনারা কেউ ইমিউন নন, ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই আপনাদেরও।’’ ব্রিক্সের মতে, যে সব এলাকায়  সংক্রমণ বেশি, সেখানে বাড়ির ভিতরেও মাস্ক পরা উচিত। তাতে বাড়ির প্রবীণ ও অসুস্থ সদস্যদের বাঁচানো সহজ হবে। স্বাস্থ্য ও জনপরিষেবা দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেট গিরোইরের মুখেও মাস্ক পরা নিয়ে একই কথা শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি বিষয়টাকে গুরুত্ব না-দিই, সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে।’’

ব্রিক্স জানান, গত তিন সপ্তাহে তিনি ১৪টি প্রদেশ ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘গোটা দেশে সবাই ঘুরছেন-বেড়াচ্ছেন। যদি কোনও হটস্পট এলাকায় ঘুরতে যান, এটা জেনেই যাবেন, আপনি সংক্রমিত হতে চলেছেন। সে ক্ষেত্রে বাড়ির প্রবীণদের কথা মাথায় রাখবেন, কিংবা যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের কথা আগে থেকে ভেবে দেখবেন।’’ 

সংক্রমণ ও মৃতের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ২৭ লাখের উপরে আক্রান্ত। মৃত্যু এক লক্ষ ছুঁইছুঁই (৯৪,১৩০)। সংক্রমণ ও মৃত্যু হুড়হুড় করে বাড়ছে আর এক দেশে— মেক্সিকো। মৃতের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে তারা। ৪৭,৭৪৬ জন মারা গিয়েছেন মেক্সিকোয়। 

ইউরোপে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু ব্রিটেন ও স্পেনে ভাইরাস নতুন করে ছড়াচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। তিন মাস লকডাউন ও সাড়ে ২৮ হাজার মানুষের মৃত্যুর পরে কড়াকড়ি খানিক শিথিল করেছিল স্পেন সরকার। কিন্তু তার পর থেকে কারখানা শ্রমিক-সহ বিভিন্ন পেশার অল্প ও মধ্যবয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে। 

চীনের পরপরই যে সব দেশে ব্যাপক ভাবে করোনা সংক্রমণ ঘটেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ইরান। কিন্তু একটা সময়ের পরে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর কমে যায় ইরানে। মৃত্যুর খবরও কমতে থাকে। একটি ব্রিটিশ দৈনিকের তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অধিকাংশ মৃত্যু-রিপোর্ট চেপে দেওয়া হচ্ছে ইরান সরকারের পক্ষ থেকে। তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০ জুলাই পর্যন্ত ১৪,৪০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ইরানে। অথচ সরকারি নথিপত্র ঘাঁটলেই জানা যাচ্ছে, অন্তত ৪২ হাজার লোক মারা গেছেন। মন্ত্রনালয় বলছে আক্রান্ত ২ লক্ষ ৮০ হাজার। অথচ হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংক্রমিত সাড়ে ৪ লাখ!