০৩ জুলাই, ২০২১
বর্ষার দিনে কার না খিচুড়ি খেতে ভাল লাগে না। প্রায় সব বয়সি মানুষের কাছে খুব একটি জনপ্রিয় খাবার খিচুড়ি। বর্ষার দিনে গরম গরম খিচুড়ি আর বেগুন ভাষি খেতে ভারি মজা। তবে এই মজাদার খিচুড়িতে রয়েছে অনেক উপকারিতা। আসুন আজ জেনে নিয় খিচুড়ির উপকারিতা।
খিচুড়ির উপকারিতা ও পুষ্টিমান
♦ খিচুড়িতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের ব্যালান্স ঠিকভাবে থাকে। তাই খিচুড়িকে পরিপূর্ণ খাবার বলা হয়। খিচুড়ি তৈরি করা হয় ডাল ও চাল দিয়ে। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ১০টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড। এক কাপ খিচুড়ি থেকে প্রায় ২৭২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। খিচুড়ির সঙ্গে সামান্য ঘি ও কয়েক ধরনের সবজি মিশিয়ে দিলেই পরিপূর্ণ ব্যালান্সড খাবার হবে।
♦ অনেকের গ্লুটেন হজম হয় না। ফলে বার্লি, গম, রাইসহ অনেক খাবার খেতে পারেন না। তাঁরা নির্দ্বিধায় খিচুড়ি খেতে পারবেন। কারণ খিচুড়ি গ্লুটেন-ফ্রি।
♦ ডায়রিয়া, বমি, জন্ডিস, জ্বর ইত্যাদির সময় পাতলা খিচুড়ি খেলে শারীরিক দুর্বলতা কাটে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়।
♦ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিপাক ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই এ সময় সহজে হজম করা যাবে—এমন খাবার খেতে হবে। আবার শিশুদের বিপাকতন্ত্র দুর্বল থাকে, তাই তারা সব ধরনের খাবার হজম করতে পারেন না। খিচুড়ি সহজপাচ্য বলে শিশু ও বৃদ্ধ সবাই খিচুড়ি খেয়ে উপকার পাবেন।
♦ যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তারা চালের বদলে ওটসের খিচুড়ি খেলে উপকার পাবেন।