ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার রায় আজ
ফাইল ছবি।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত আসামি মজনুর বিরুদ্ধে বেলা আড়াইটার দিকে এই রায় ঘোষণা করবেন।
গত ১২ নভেম্বর এ মামলায় একমাত্র আসামি মজনুর আত্মপক্ষ সমর্থন এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ জানান,আশা করছি এ মামলায় আইন অনুযায়ী আসামির সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই হবে। আজ রায় ঘোষণা হলে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হবে মাত্র ১৩ কর্মদিবসে। মজনু মামলাটির একমাত্র আসামি।
তবে মজনুর আইনজীবী (সরকার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত) রবিউল ইসলামের দাবি, ‘মজনুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে মজনু খালাস পাবেন।’
এর আগে ১২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। ১৩ কার্যদিবসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
এদিকে, রায়ে আসামি মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা। গত ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন ওই ঢাবি ছাত্রী। এরপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর গত ৮ জানুয়ারি শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাব ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে গ্রেপ্তার করে।
গত ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বলেন, 'আসামি মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। যেহেতু সরকার ধর্ষণের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন করেছে। তাই আসামির মৃত্যুদণ্ড চাই।' তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি মজনু মামলা থেকে খালাস পাবেন।