মরিশাসের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সড়ক’ উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, মরিশাসের সাথে বর্তমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে মরিশাসের সাথে আমরা হাতে হাত রেখে একসাথে পথ চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সড়কের নামফলক উন্মোচনের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। মরিশাসের সড়ক বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত গর্বের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সড়ক দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মরিশাস দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় পর্যায়ে চমৎকার সম্পর্ক উপভোগ করছে। জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশই একই মূল্যবোধ, নীতি ও আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।’এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও মরিশাস একে অন্যকে সমর্থন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আগামী বছর বাংলাদেশ ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া আরও সুদৃঢ় করার লক্ষে কাজ করবে।’

সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সম্ভবনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা মরিশাসের বিশাল অভিজ্ঞতা থেকে লাভবান হতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য ২০২০ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর আমরা দেশে ও দেশের বাইরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষ উদযাপন করছি।’

‘বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণ-নিপীড়নহীন সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন। আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি,’ বলেন তিনি।এ প্রসঙ্গে তিনি ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

করোনাভাইরাস মহামারীর মাঝেও সড়কের নামকরণের মতো এমন একটি উদ্যোগ নেয়ায় শেখ হাসিনা তার নিজের পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে মরিশাসের সরকার, এর বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সড়কের নামফলক উন্মেচন করেন মরিশাসের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আনোয়ার হুসনু এবং পোর্ট লুইসের মেয়র মাহফুজ মুসা।

ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন। সূত্র : ইউএনবি