বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত ক্ষোভের, দুঃখের ও অন্তর্জালার : ইবি উপাচার্য

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত ক্ষোভের, দুঃখের ও অন্তর্জালার : ইবি উপাচার্য

ছবি : প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, কুষ্টিয়া লালন-মীর মশাররফের মাটি। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রথম যে সরকার গঠিত হয়েছিল তাও কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের মাটিতে। এরকম উর্বর মাটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে আঘাত এসেছে এটা ক্ষোভের, দুঃখের ও অন্তর্জালার।

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের কিছু অংশ ভেঙ্গে বিকৃত করার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

  এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। তাঁকে মুছে ফেলা যাবেনা। বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলা যায়, কিন্তু তাঁকে বিনাশ করা যাবে না। তাঁর ভাস্কর্যের একটি হাত ভাঙ্গার কারণে দেশের কোটি জনতা রাস্তায় নেমে এসেছে। যারা এ ঘৃণ্য কাজ করেছেন তাদের এখান থেকে বিষয়টি উপলদ্ধি করা উচিৎ।

তিনি আরও বলেন, ৫২ বছরে আমরা অনেকেই পিতা হতে পারিনি কিন্তু ৫২ বছরে বঙ্গবন্ধু ‘জাতির পিতা’ হয়েছেন, এটা এমনিতে হয়নি। জাতির পিতাকে যারা ভেঙ্গে ফেলার, মুছে ফেলার দুঃস্বপ্ন দেখে তাদেরকে হুশিয়ার করে বলতে চাই, এটা সম্ভব নয়। হিমালয়ের গায়ে আঁচড় দিয়ে হিমালয়কে ধ্বংস করবেন এটা অসম্ভব বিষয়। তাই তাঁদেরকে বলছি আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সমিতির সদস্য অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ।

এ সময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।