দুই দফা দাবিতে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের বিক্ষোভ

দুই দফা দাবিতে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের বিক্ষোভ

সংগৃহীত

পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ এবং অধিযাচিত শূন্য পদসমূহে দ্রুততম সময়ে সুপারিশের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীরা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে শতাধিক প্রার্থী অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন।

প্রার্থীরা জানিয়েছেন, কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছিল—৪৩তম বিসিএসের নামে পিএসসির নিকট কোনো শূন্য পদ নেই। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অধিযাচন এলে সুপারিশ করা সম্ভব হবে।

এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে পিএসসি মনোনয়নের অভিমত প্রদান করে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দপ্তরের কাছে অধিযাচন চেয়ে পত্র প্রেরণ করে। এর ধারাবাহিকতায় ৭ মে ২০২৫ তারিখে ৮ হাজার ৫০১টি এবং পরবর্তী সময়ে আরও কিছু পদসহ প্রায় ৯ হাজার শূন্য পদ কমিশনে প্রেরিত হয়।

কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ প্রাপ্তির পরও কমিশন বিদ্যমান ‘নন-ক্যাডার নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০২৩’ অনুসারে সুপারিশ না করে বরং ২২ মে ২০২৫ তারিখে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।

প্রার্থীদের অভিযোগ, তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও সংশোধিত বিধি এখনো গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি। তারা বলছেন, যে বিধি তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, সেটিই এখন পরিকল্পিত বিলম্বের শিকার হচ্ছে।

তাদের মতে, ৪৩তম বিসিএস নন–ক্যাডারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়েছে। এত প্রার্থী একটি চাকরির জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন। এখন তারা হতাশ। তারা বলেন, ‘পিএসসি বারবার আমাদের আশ্বাস দেওয়ার পরও এখনো সমাধান হয়নি। পিএসসি যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করে তাদের মানসিক স্বস্তি নিশ্চিত করুক।’

৪৩তম বিসিএসে প্রথমবারের মতো ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়—২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও এখনো পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।