নিরাপদ দেশীয় খাবার গ্রহণের আহ্বান ক্যাবের

সংগৃহীত
ঐতিহ্যবাহী ও নিরাপদ দেশীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বিশ্বব্যাপী পালিত গ্রিন অ্যাকশন উইক-২০২৫ উপলক্ষে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁও মডেল হাই স্কুলে ‘ব্যাক টু দ্য রুটস: সেফ অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল ফুড ইন স্কুলস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ক্যাব এই আহ্বান জানায়।
অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ঐতিহ্যবাহী ও নিরাপদ দেশীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও টেকসই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরা।
বক্তারা বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভোক্তা।
অনুষ্ঠানে ক্যার সভাপতি এ. এইচ. এম, সফিকুজ্জামান প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার কেবল স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণ ও নিরাপত্তার দিক থেকেও সমৃদ্ধ। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত উপকরণ দিয়ে প্রস্তুত ঐতিহ্যবাহী খাবার গ্রহণ করতে এবং ফাস্ট ফুড ও অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার কমাতে তিনি শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা জাকিয়া আসমা ও ক্যাব নির্বাহী কমিটির সদস্য শওকত আলী খান বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া। অতিথিরা বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুষ্টি, খাদ্য ঐতিহ্য ও ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিদ্যালয়ই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর ক্ষেত্র।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ মোট ১৫০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণকারীরা বর্তমান খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রভাব নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন। সবাই ঐকমত্য প্রকাশ করেন যে, প্রাকৃতিক, ঘরে তৈরি ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রচলন বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শেফ আফলাতুন নেছার সরাসরি রান্না প্রদর্শনী। তিনি দুটি ঐতিহ্যবাহী খাবার ভুনা খিচুড়ি ও মিষ্টি আলুর হালুয়া প্রস্তুত করে দেখান। রান্নার সময় তিনি প্রতিটি খাবারের পুষ্টিগুণ, ঐতিহ্যিক গুরুত্ব এবং নিরাপদ উপায়ে প্রস্তুতের কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সঙ্গে রান্না প্রদর্শনী উপভোগ করেন এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা অঙ্গীকার করে যে তারা নিরাপদ, পুষ্টিকর ও ঘরে তৈরি খাবার বেছে নেবে এবং অস্বাস্থ্যকর ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে বিরত থাকবে।