চাটমোহরে যুবকে লাশ উদ্ধার

চাটমোহরে যুবকে লাশ উদ্ধার

ছবি: প্রতিনিধি

পাবনা প্রতিনিধি:চাটমোহর পুলিশ উপজেলায় গুমানী নদীর ক্যানেল থেকে শনিবার(২০ মার্চ) দুপুরে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত ব্যক্তি হল-নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে পলাশ(৪০)। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পলাশ কয়েক বছর যাবৎ চাটমোহর উপজেলার সমাজ মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মুতালিবের মেয়ে মৌসুমী খাতুনকে বিয়ে করে ওই গ্রামেই মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পলাশ ড্রাইভার নামে তিনি এলাকায় পরিচিত।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত পলাশসহ কয়েকজন শুক্রবার রাতে রোজিনা ওরফে সাথীকে নিয়ে সমাজ বাজারে আসে। রোজিনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে সমাজ বাজারের লোকজন হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে রাত আটটার দিকে রোজিনাকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এ সময় সবাই সটকে পড়ে। শনিবার দুপুরে সমাজ বাজারের পাশে গুমানী নদীর ক্যানেলে মাটি চাপা দেওয়া পলাশের মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের শ^শুর আব্দুল মুতালেব জানান, প্রায় ৩ বছর আগে পলাশ তার মেয়েকে বিয়ে করে। তার মেয়ে পলাশের দ্বিতীয় স্ত্রী। পলাশও তার মেয়ের দ্বিতীয় স্বামী। বিয়ের পর সমাজেই থাকতো এবং মিনি ট্রাকসহ ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালাতো। কী কারণে, কারা তাকে হত্যা করেছে, তা তিনি জানেন না।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পলাশকে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য কাটা দাগ রয়েছে। কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে ও আটক রোজিনা ওরফে সাথীকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ক্লু মিলেছে। দ্রুতই অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রোজিনা খাতুন ওরফে সাথী (২৫) নামের এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। সে চিহ্নিত কলগার্ল বলে জানায় পুলিশ। আটককৃত রোজিনা ওরফে সাথী উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের খতবাড়ি গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের স্ত্রী।