অতিরিক্ত কফি পান, অজানা বিপদ থেকে সাবধান

অতিরিক্ত কফি পান, অজানা বিপদ থেকে সাবধান

দিনে অতিরিক্ত কফি সেবনে হতে পারে শরীরের নানারকম সমস্যা। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের জন্যই মোটেই ভালো নয়-

কফির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। অফিসের স্ন্যাক্সে হোক কিংবা সকালের ব্রেকফাস্ট অথবা বিকেলের আড্ডা। এক কাপ কফি না হলে ঠিক যেন জমে না। আবার অনেকে একটানা বিরামহীন ভাবে কাজ করতে গিয়ে সারাদিনে কয়েক কাপ কফিও পান করে ফেলেন। তবে সারাদিনে প্রচুর কফি পান মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বরং ক্ষতিকারক।
 
দিনে অতিরিক্ত কফি সেবনে হতে পারে শরীরের নানারকম সমস্যা। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের জন্যই মোটেই ভালো নয়।

আমেরিকান ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জার্নালে জানিয়েছে, ঘুম থেকে উঠে যদি আপনি সরাসরি কফি পান করেন তাহলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, সারারাত শরীরে নানা রকম রাসায়নিক প্রক্রিয়া চলার কারণে পাকস্থলিতে অতিরিক্ত অ্যাসিড ক্ষরণ হয়। এই অবস্থায় খালি পেটে কফি পড়লে গা গুলোতে থাকে ও বমির মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে অনেকেই ডিনারের আগে কফি খেতে পছন্দ করেন ফলস্বরূপ এতে রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আমাদের নার্ভকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয় এই ক্যাফিন জাতীয় সফট ড্রিংকস গুলি।

এছাড়াও কাজের ফাঁকে হোক অথবা অবসর যাপনে সারাদিনে দু চার কাপ কফি অনেকেই খেয়ে ফেলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। এটা মোটেও করা যাবে। সারাদিনে দু,এক কাপের বেশি কফি পান করা শরীরের পক্ষে মোটেও হিতকারক নয়। বরং একটানা বেশি কফি পানের অভ্যাস বজায় থাকলে হতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। কমে যেতে পারে ঘুমের পরিমাণ৷ বাড়তে পারে স্ট্রেস। ফলে উত্তেজক পানীয় হিসেবে কফি পানের যেমন প্রয়োজন আছে তেমনই দরকার পরিমাণ বুঝে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।

এছাড়াও কারণে অকারণে চা, কফি বা বিভিন্ন সফট ড্রিংকস খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। নাহলে শরীরে মেদ যেমন বাড়বে তেমনই রোগব্যাধি বাড়বে। যত কাজের চাপই থাকুক না কেন রাতে অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানের অভ্যাস করুন। বরং ত্যাগ করুন দুপুরের ভাত ঘুমের অভ্যাস। সারাদিন টুকটাক কাজের ফাঁকে চা কফিতে চুমুক না দিয়ে পুষ্টিকর খাবার খান। এতে লাভ আপনারই হবে। শুধু তাই নয়, মানসিক চাপ কমাতে চা কফির বদলে যোগাও করতে পারেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন উপকার মিলবে অনেক। -কোলকাতা২৪