ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব চালাচ্ছে ইসরাইল : যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব চালাচ্ছে ইসরাইল : যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব চালাচ্ছে ইসরাইল : যুক্তরাষ্ট্র

ইসরাইল যেভাবে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করছে তা প্রকৃতপক্ষে দখলদারিত্ব বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বুধবার বাইডেন প্রশাসন এ মন্তব্য করে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার এ বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিল তার চেয়ে ভিন্ন অবস্থানের আভাস দিচ্ছে এ বিবৃতি।

পশ্চিম তীরে ইসরাইলের দখলদারিত্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাইডেন প্রশাসন এ বিষয়ে এমন অবস্থান নিয়েছে।মানবাধিকারের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে পশ্চিম তীরের সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ দখলদারিত্ব শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস গণ-মাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বহু দশক ধরে পূববর্তী মাকিন প্রশাসনগুলো এ দ্বিপাক্ষিক (ইরাইল ও ফিলিস্তিন) বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিলেন।কিন্তু ইসরাইলপন্থী ট্রাম্পের আমলে অত্যন্ত রূঢ়ভাবে বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে ‘ইসরাইল ও অধিকৃত ভূ-খণ্ডগুলোর পরিবর্তে লেখা হয়েছে ইসরাইল, পশ্চিম তীর ও গাজা। এর মাধ্যমে ইসরাইলের দখলদারিত্বকে স্বীকার করা হয়নি।

প্রথম যে রিপোর্ট বাইডেন প্রশাসন অনুমোদন করেছে, সেটা মঙ্গলবার প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। কিন্তু, তারা যে ভাষা প্রয়োগ করেছে তার দ্বারা কোনো পক্ষ অবলম্বন করা হয়নি।

মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লিসা পেটারসন বলেন, এ প্রতিবেদনে সাধারণত ভৌগোলিক নামগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। ইসরাইল, পশ্চিম তীর ও গাজা উল্লেখ করায় পাঠকরা সহজে ও স্পষ্টভাবে ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন।

ট্রাম্পের পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও পূর্ববর্তী নজির ভঙ্গ করে পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিতে সফর করতে যান। ওই সময় তিনি বলেন, সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক ঐক্যমত্য অনুসারে পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতি নির্মাণকে অবৈধ বলা হচ্ছে। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে একমত নন, তার মতে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি নির্মাণ বৈধ। তিনি ট্রাম্পের সাথে মিলে ইসরাইলকে এ ইঙ্গিত দেন যে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলে কোনো বাধা নেই।

ট্রাম্প এটাও স্বীকৃতি দেন যে জেরুসালেম ইসরাইলের রাজধানী। এ ছাড়া সিরিয়ার গোলান মালভূমির দখলকেও স্বীকৃতি দেন তিনি।ইসরাইল গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে ২০০৫ সালে। কিন্তু হামাস শাসিত জনবহুল এ ভূখণ্ডের আকামসীমা ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।

বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্র সচিব এন্টনি ব্লিকেন এ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র জেরুসালেমের বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপরীত কিছু করবে না। কিন্তু স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অনেক কাজ করবে।

সূত্র : আল- আরাবিয়া