করোনা চিকিৎসায় এই ঘরোয়া পদ্ধতি ক্ষতিকারক! ডাক্তাররা করছেন সাবধান

করোনা চিকিৎসায় এই ঘরোয়া পদ্ধতি ক্ষতিকারক! ডাক্তাররা করছেন সাবধান

কোথাও কোথাও আবার বলা হচ্ছে যে গরম পানির তাপ নিলে ভাইরাস শেষ করতে পারি আমরা

মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আসতেই গোটা পুরো বিশ্ব কেঁপে উঠেছে। এই দ্বিতীয় ঢেউ এর প্রভাব কতটা সুদুরপ্রসারী তা প্রতিদিনের খবর থেকে আমরা জানতে পারছি। এই প্রভাব কী করে কাটা যায় সেই নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার বলা হচ্ছে যে গরম পানির তাপ নিলে ভাইরাস শেষ করতে পারি আমরা।

করোনা আক্রান্তরা এবং যারা নিজেদের এই ভাইরাস থেকে দূরে রাখতে চাইছে তারা সকলেই এই পদ্ধতি মেনে চলছে। কিন্তু এও প্রশ্ন উঠছে যে সত্যিই কি এই পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে? আবার যারা যারা এই পদ্ধতি মেনে চলছেন তাদের উপর কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কি সেই নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।

ইউনিসেফের এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে এরকম কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে করে বোঝা যায় যে এই ভাইরাসকে দূরে রাখতে বা নির্মূল করতে সক্ষম এই স্টিম পদ্ধতি। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মহামারীর চিকিৎসায় এই স্টিম পদ্ধতি গ্রহণ করার পক্ষপাতী নয়। এর কারণ হলো স্টিম নেওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ক্রমাগত গরম পানির ভাপ নিতে থাকলে গলা এবং পাঁজরের মধ্যবর্তী যে নলটি রয়েছে সেখানে ট্রাকিয়া এবং ফেরিংস জ্বলে যেতে পারে বা আশংকাজনক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। বলাবাহুল্য এই নলটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেকোনো মানুষের পক্ষে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

শুধু এটুকুই নয়, করোনা ভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি শরীরে প্রভাব বিস্তার করে ফেলতে পারে। স্টিম নেওয়ার খারাপ প্রভাব সম্পর্কে যারা অজ্ঞ তাদের সচেতন করতে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বিশেষ সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আরেকটি পোস্টের মাধ্যমে বলা হচ্ছে যে গরম পানি আমাদের গলার জন্য ভালো। কিন্তু জেনে রাখা ভালো যে করোনা ভাইরাস নাকের প্যারানসল সাইনাসের ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে এবং সেই জায়গায় গরম পানি পৌছাতে পারে না। তিন চারদিন পরে সেই ভাইরাস আমাদের পাঁজরে প্রবেশ করে যায় এবং এর ফলেই প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।

তবে প্যারানসল সাইনাসে লুকিয়ে থাকা ভাইরাসটিকে শেষ করতে সক্ষম গরম পানি। জেনে রাখুন যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফোটানো গরম পানির ভাপ নিতে পারলে তবেই তা আমাদের নাকের সেই অংশে পৌঁছাতে পারে যেখানে ভাইরাসটি লুকিয়ে রয়েছে। -কোলকাতা২৪