সাহরী খাওয়া অবস্থায় ফজরের আযান দিলে করনীয়

সাহরী খাওয়া অবস্থায় ফজরের আযান দিলে করনীয়

সাহরী খাওয়া অবস্থায় ফজরের আযান দিলে করনীয়-

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ أَحَدُكُمْ وَالْإِنَاءُ فِي يَدِهِ فَلَا يَضَعْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ مِنْهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

হযরত আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (সাহরী খাবার সময়) তোমাদের কেউ ফজরের আযান শুনতে পেলে সে যেন হাতের বাসন রেখে না দেয়। বরং নিজের প্রয়োজন সেরে নেবে। [সহীহ : আবূ দাঊদ ২৩৫০, আহমাদ ৯৪৭৪, ১০৬২৯, ১০৬৩০, মুসতাদারাক লিল হাকিম ৭২৯, সহীহাহ্ ১৩৯৪, সহীহ আল জামি‘ ৬০৭।]

ব্যাখ্যা: (فَلَا يَضَعْهُ حَتّٰى يَقْضِيَ حَاجَتَه مِنْهُ) ‘‘পাত্র থেকে তার প্রয়োজন শেষ না করে তা রেখে দিবে না।’’ অর্থাৎ- পানাহারের প্রয়োজন শেষ হবার আগেই মুয়ায্যিনের আযান শুনে পানাহারের পাত্র রেখে দিবে না। বরং তার পানাহারের প্রয়োজন শেষ করবে। অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, ফজরের আযান শ্রবণের সময় স্বীয় হাতের পাত্র থেকে পানাহার করা বৈধ। বলা হয়ে থাকে যে, এ আযান দ্বারা ফজরের পূর্বে বিলাল (রাঃ) এর আযান উদ্দেশ্য। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিলাল রাত থাকতেই আযান দেয়, অতএব তোমরা ইবনু উম্মু মাকতূম আযান দেয়ার আগ পর্যন্ত পানাহার করতে থাক।

এটাও বলা হয়ে থাকে যে, পানাহার হারাম হওয়ার সম্পর্ক ফজর উদয়ের সাথে আযানের সাথে নয়। মুয়াযযিন ফজর উদয়ের আগেও আযান দিতে পারে। অতএব এখানে আযান কোন ধর্তব্য বিষয় নয় যদি ফজর উদয়ের বিষয়টি জানা না যায়। তবে সাধারণ লোক যারা ফজর হওয়া বা না হওয়া বুঝতে পারে না তাদের জন্য আযানের উপর নির্ভর করাই শ্রেয়।