খেজুর দিয়ে সাহরী করা

খেজুর দিয়ে সাহরী করা

খেজুর দিয়ে সাহরী করা-

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ أَبُو الْمُطَرِّفِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: نِعْمَ سَحُورُ الْمُؤْمِنِ التَّمْرُ
صحيح

২৩৪৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঈমানদার ব্যক্তির জন্য খেজুর দিয়ে সাহরী খাওয়া কতোই না উত্তম! [বায়হাক্বী, ইবনু হিব্বান]

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১। মুসলিম ব্যক্তির রোজা রাখার জন্য উত্তম সেহরি হলো খেজুর। তাই খেজুর দিয়ে অথবা খেজুর সহকারে সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব বা উত্তম। কিন্তু এই সুন্নাতটি হতে অনেক লোকই বে খেয়াল। এবং তারা মনে করে যে, খেজুর শুধু রোজা ইফতার করার জন্য সুন্নাত।

২। খেজুর হলো একটি কল্যাণকর ফল। তাই খেজুর দিয়ে অথবা খেজুর সহকারে সেহরি খাওয়ার বিষয়টি হলো কল্যাণের উপর কল্যাণ লাভ করা কিংবা বরকতের উপর বরকত লাভ করা।

৩। সেহরি খাওয়ার বিষয়টি অন্যান্য ইবাদত ও সৎকর্ম সম্পাদন করার কাজে সহায়ক হয়। তাই মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন সর্বদা সেহরি খাওয়ার বিষয়ে তৎপর থাকে। বেশি খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে যেমন সেহরি খাওয়া হয়, তেমনি অল্প খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেও সেহরি খাওয়া হয়। সুতরাং যেমন খেজুর খাওয়ার  মাধ্যমে সেহরি খাওয়া হয়। সেই রকমভাবে এক ঢোক পানি পান করার মাধ্যমেও তা হয়। তবে খেজুর দিয়ে অথবা খেজুর সহকারে সেহরি খাওয়ার বিষয়টি হলো সর্বোত্তম সেহরি।