২২ দিন পর রাজধানীতে গণপরিবহন

২২ দিন পর রাজধানীতে গণপরিবহন

২২ দিন পর রাজধানীতে গণপরিবহন- সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাসে প্রকোপ বেড়ে যাওয়া লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সারাদেশের গণপরিবহন। রাজধানীসহ সকল জেলা শহরেও বন্ধ ছিল আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস। তাবে দীর্ঘ ২২ দিন পর রাজধানীতে এবং দেশের জেলার অভ্যন্তরে গণপারিবহন চলাচল শুরু করেছে। তবে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়লেও এবার জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহণ চলবে বলে জানানো হয়। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তঃজেলা গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। তবে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহণ চলাচল করতে পারবে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলও আগের মতো বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে কর্মস্থলে থাকবেন। আর দোকানপাট ও শপিংমল স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বিধিনিষেধ চলাকালে দোকানপাট ঈদ পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয়, তবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত অমান্য করলে জরিমানা করা হবে।

১৪ এপ্রিল থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তবে দুই সপ্তাহ পরে শপিংমল খুলে দেওয়া হলেও গণপরিবহন চালু হল ২২ দিন পর।