সাভারে অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ

সাভারে অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ

সাভারে অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ- ছবি: সাভার প্রতিনিধি

একদিকে, কাঠফাটা রোদ। অন্যদিকে, মাঠ থেকে ভেসে আসছে পাকা ধানের ঘ্রাণ। পাকা ধানের ঘ্রাণে মুখে হাসি ফুটলেও করোনা, রোদ, শ্রমিকের অপ্রতুলতাসহ নানাবিধ কারণে কৃষকের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাঁজ। তবে ধান ঘরে তুলতে অসহায় কৃষকদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।

দেশব্যাপী করোনার কারণে শ্রমিকের মজুরি দিয়ে ধান কেটে ফসল ঘরে তুলতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক। আর তখনই কৃষকদের ধান কেটে মাড়াই করে দিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি  সারাদেশে  ছাত্র, যুব,এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশে ধান কেটে দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে কৃষকের খরচ ও কম কষ্টে  ধান ঘরে নিতে পেরে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে।

কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় ঢাকা জেলা উত্তর যুব অধিকার পরিষদের সহযোগিতায় ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসাদুল ইসলাম মুকুলের নেতৃত্বে  শুক্রবার(৭ মে) জুমার নামাজের পর শিমুলিয়া ইউনিয়নের  দিঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় কৃষক জসীমউদ্দীন অত্যাধুনিক মেশিনে ধান কাটার সুবিধা পেয়েছে। প্রথম দিনেই প্রায় দুই বিঘা ধান কাটা হয়।

কৃষক জসিমউদ্দীন বলেন, ‘প্রতি বছর ধান কাটতে গিয়ে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়তে হয়। কারণ কামলা (শ্রমিক পাওয়া যায় না, একা একা কাটতে হয়।
এইবার আইছে মহামারী করোনা, আরও বিপর্যস্ত আমরা। মেশিন দিয়ে স্বল্প খরচে কম কষ্টে  ধান কেটে মাড়াই করে নিতে পারছি। ছাত্র অধিকার পরিষদের অত্যাধুনিক যন্ত্র ও তাদের সহযোগিতার কথা আমরা কোনোদিন ভুলব না।’

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের অত্যাধুনিক যন্ত্রটির নাম অকটেন চালিত 'ব্রাশ কাটার। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে খরচ ও কষ্ট কমে কৃষক নিজেই তার ধান কাটতে পারছে। এই যন্ত্র  ব‍্যবহার করে ঘন্টায় এক বিঘা জমির ধান কাটা যায়। এতে খরচ হয় মাত্র ১৪০ টাকা। ধান কাটার পুরো সময় জুড়ে ধান বাধাই মারাইয়ে পাশে ছিল ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ ঢাকা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘ ‘আমরা মাতৃ সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছি। অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার করে তাদের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই চেষ্টা করছি।’

চলমান করোনা মহামারির বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র কৃষক যখন শ্রমিকের মজুরি দিয়ে ধান কাটতে পারছেন না, অসহায় এই কৃষকের সোনার ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই উদ্যোগ নিয়েছি। আমার এলাকার ছাত্র,যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের  সব নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সাভার উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমরা কৃষকের পাশে আছি।’