পদ্মা পাড়ে ঘরমুখি মানুষের জনস্রোত

পদ্মা পাড়ে ঘরমুখি মানুষের জনস্রোত

এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখি মানুষের যে ভিড় লক্ষ করা গেছে তাতে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকগুণে বড়িয়ে দয়েছে- সংগৃহীত ছবি

রোজা ৩০টি হলে শুক্রবার ঈদ। আর ২৯টি হলে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত কয়েক দিনের মতো বুধবারও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটে। পদ্মার তীরে ঠিক যেন জনসমুদ্র। বুধবার ভোর থেকেই বাড়িতে ফেরার জন্য মাওয়া ঘাট এলাকায় এসে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। তাদের মাঝে করোনা মহামারী সংক্রমণের বিন্দুমাত্র চিন্তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে প্রত্যক্ষদর্শরা জানিয়েছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ ও বিজিবি মোতায়েন করে কয়েকটি চেকপোস্ট বসিয়েও লোকজনকে এবার আটকে রাখা যায়নি। সব বাধা উপেক্ষা করেই বাঁধভাঙা স্রোতের মতো শিমুলিয়া ঘাটে ছুটছে মানুষ। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিমুলিয়া ফেরিঘাট আর কখনো এত মানুষকে একত্রে পায়নি। বুধবার (১২ মে) সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

লোকজন ট্রাকে, পিকাপে এবং ড্রাম ট্রাকে করে গায়ে গায়ে ভিড় করে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে। চেকপোস্টে নামিয়ে দেওয়ার পর হেঁটে ফেরিঘাটে যাচ্ছেন তারা। আবার চেকপোস্ট এড়িয়ে যেতে বিকল্প ছোট ছোট সড়ক ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেলেও ঘাটে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, বুধবার কোনো ট্রলার জব্দ করা হয়নি। আমরা ঘাটে মাইকিং করে দিয়েছি যে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক। কেউ যাতে ট্রলারে করে পদ্মা পার না হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ- বিআইডাব্লিউটিসির মাওয়া-শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: শফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি চলছে। তবে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী চার শতাধিক গাড়ি। কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানছে না এসব মানুষ। আর তাদের কারণে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখি মানুষের যে ভিড় লক্ষ করা গেছে তাতে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকগুণে বড়িয়ে দয়েছে।