ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’,

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’,

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ভারতে কারশেড বা বড় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন বাঁধা থাকবে চেন দিয়ে। সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ। তবে দূরপাল্লার ট্রেন চালু রয়েছে। ফলে ঝড় নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে রেলকে। শুক্রবার পূর্ব রেলের জিএম মনোজ যোশী বিভাগীয় কর্তা ও ডিআরএমদের সাথে এনিয়ে জরুরি বৈঠক করে এ বিষয়ে একাধিক নির্দেশ দেন।

তবে রেল হাসপাতালগলোকে ঝড়ের তাণ্ডব থেকে সুরক্ষিত রাখতে নানা আপৎকালীন ব্যবস্থা তৈরি রাখার পাশাপাশি অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন ও কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, এই মুহূর্তে প্রতিটি রেল হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীতে ভর্তি। যাদের মধ্যে অনেকেই ক্রিটিক্যাল স্টেজে। ফলে চিকিৎসা বিভ্রাট যাতে না ঘটে সেজন্য কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

বুধবার রাজ্যের সাথে রেলকর্তাদের এনিয়ে বৈঠকের পর রাজ্যের নির্দেশে নিজেদের পরিকাঠামোকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে রেল। আগামী ২৫ মে থেকে ২৬ মে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সমুদ্র উপকূলে ঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই দিনগুলোতে শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জিএম। দুই ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং, অপারেশন, সিগন্যালিং বিভাগগুলোকে ঝড়ের সাথে মোকাবেলা করার সব রকমের প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, হাওড়া কারশেড এলাকা জলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেই এলাকা থেকে সমস্ত ট্রেন সরিয়ে অন্যত্র রাখার পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা উপযুক্ত রাখা হবে। পানি তুলে ফেলার জন্য পাম্পগুলিকে সক্রিয় রাখা হবে। এছাড়া ওভারেহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি হওয়ার আশঙ্কায় টাওয়ার ভ্যান প্রস্তুত রাখার সাথে ইলেকট্রিক বিভাগের কর্মীদের চব্বিশ ঘণ্টা কাজের জন্য হাজির থাকতে হবে।

একই রকমভাবে ওভারহেডের তার ও রেলের অন্য জায়গায় গাছের ডাল পড়ার পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মীদের মোতায়েন রাখা হবে। ঝড়ের তাণ্ডবে কারশেড এলাকা বা অন্য রোডসাইড এলাকায় যেখানে ট্রেনগুলো রাখা হবে, সেই বগিগুলি যাতে গড়িয়ে বিপত্তি না ঘটায় এজন্য লাইনের সাথে বগিগুলোকে বেঁধে রাখা হবে চেন দিয়ে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশনও। ডিআরএম এস পি সিং বলেন, ডিভিশনের মধ্যে ঝড়ের বেশি প্রভাব পড়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। সব রকমের ব্যবস্থার সাথে রেলের বিপর্যয় সামলানোর মতো বিভাগগুলোকে হাজির রাখা হবে নির্দিষ্ট এলাকায়। নদী ব্রিজগুলোর পরিস্থিতি আগাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া লাইনে পেট্রোলিংয়ে যুক্ত কর্মীদের ধস নামার দিকটিতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন