‘ইয়াস’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

‘ইয়াস’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

‘ইয়াস’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ, আনসার, বিজিবি, সিপিপি’র (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) ভলান্টিয়ারসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রস্তুত আছেন। তারা নির্দেশনার ভিত্তিতে কাজ করবেন।’

ডা: এনামুর রহমান সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি বিষয়ক এক সভায় এ কথা বলেন।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বর্তমান গতিপথ অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

তিনি বলেন, নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি এখনো অতটা শক্তিশালী হতে পারেনি। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উষিড়্যা উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসকে আমরা কঠোর পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। যদি কোনো কারণে এটি দিক পরিবর্তন করে তাহলে আমরা আমাদের জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাবো। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জনগণকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোহসীন, অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাসিম, রঞ্জিত কুমার সেন, আলী রেজা মজিদ, মো: মোয়াজ্জেম হোসেন, রওশন আরা বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আতিকুল ইসলাম, সিপিপি’র পরিচালক আহমেদুল হক এবং আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস