পাবনায় ‘নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার’ এর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে

পাবনায় ‘নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার’ এর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে

নির্মাণাধীন পাবনায় ‘নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার’- ছবি : পাবনা প্রতিনিধি

দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের চিকিৎসা সেবাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে পাবনা ও কুষ্টিয়াসহ আট জেলায় নতুন করে ৮টি ইনিস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) ‘নিউক্লিয়ার মেডিসিন  সেন্টার’ এর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
 
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আওতায় এই সব প্রকল্পের কাজ চলছে। পাবনা সদর উপজেলার কাশিপুরে পাবনা মানসিক হাসপাতাল সংলগ্ন পাবনা মেডিকেল কলেজ চত্বরে এই ‘নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার’ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আওতায় এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চিকিৎসাক্ষেত্রে পাবনাবাসীসহ আশপাশের জেলাসমূহের জটিল রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা সেবা নিতে পারবেন। তাদেরকে আর রাজশাহী, খুলনায় যেমন দৌঁড়াতে হবে না; তেমনি অতিরিক্ত অর্থও ব্যয় হবে না। এখানে চিকিৎসাক্ষেত্রে থাকবে -স্পেস্ট সিটি, বিএমডি, কালার ডপলার মেশিন, অটোমেটিক গামা কাউন্টার, থাইরয়েড ক্যামেরা, থাইরয়েড আপটেক সিস্টেমসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সম্পন্ন টেস্ট ও চিকিৎসার সুযোগ। এই প্রকল্পের কার্যক্রম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন হতে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

প্রকল্প পরিচালক মজিবুর রহমান “নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার” নির্মাণ কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. সানোয়ার হোসেনের নির্দেশক্রমে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমাকে সার্বক্ষণিক প্রকল্পের সহকারি পরিচালক হাবিবুল্লাহ পাশে থেকে কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।”

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা বীর মুক্তযোদ্ধা আ. স. ম. আব্দুর রহিম পাকন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এর আন্তরিক সহযোগিতার কথাও এই কর্মকর্তা স্মরণ করেন।