নানা আয়োজনে উদযাপিত হল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

নানা আয়োজনে উদযাপিত হল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

ছবি: প্রতিনিধি

কুবি প্রতিনিধিঃ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন হয়েছে।  সোমবার (৩১ মে )  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস থাকলেও কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থাকায় ৩১মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন উপাচার্য। কেক কাটা শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলামের সঞ্চালনায় এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শামিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য উপাচার্য বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আগামীতে আরো বড় পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করতে পারবে। আমরা যে ১৬ শ' ৫৫ কোটি টাকার প্রক্ল্প হাতে পেয়েছি তা আজ স্বপ্ন নয় বাস্তব। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। আমরা শিঘ্রই একটি চমৎকার পরিবেশ পাচ্ছি। কিন্তু এই চমৎকার পরিবেশ নষ্ট হতে বেশী সময় লাগবেনা।

পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে কোন বাধা না আসে সেজন্য আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল মধ্যবিত্ত। এখানে শিক্ষার্থীরা ১২-১৪টাকা দিয়ে পড়াশুনা করে। কিন্তু আমরা সরকারী অর্থ অপচয় করতে পারিনা। অপচয় করা একটা অপরাধ। তিনি আরো বলেন, আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে তবে সেটা হবে পজেটিভ প্রতিযোগিতা। আর পজেটিভ থাকলে সবকিছু জয় করা সম্ভব হয়।

আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে আমাদের যে অভাব রয়েছে তা আমরা সেটা পূরণ করতে পারবে। ট্রেজারার বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোয় আলোকিত হলো কুমিল্লাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যদের পাশাপাশি কুমিল্লাবাসী যখন এই বিশ্ববিদ্যালয় কে ধারণ করবে তখন এটি বিশ্ব দরবারে জায়গা করে নিবে।

২৫০ একরের ক্যাম্পাস থেকে যারা গ্র্যাজুয়েট হবে তারা যাতে মানবজাতির কল্যাণে কাজ করে। এইজন্য আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শাখা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।