ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি, ভোগান্তিতে কর্মজীবীরা

ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি, ভোগান্তিতে কর্মজীবীরা

ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি, ভোগান্তিতে কর্মজীবীরা-

ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সকালে হালকা বৃষ্টির পর বেলা ১১টার দিকে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। তারপর টানা মেঘলা থেকেছে আকাশ। রাত ১টার দিকে ফের ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু না আসলেও এমন বৃষ্টিতে মনে হতেই পারে ঢাকায় ঘোর বর্ষা নেমেছে।

রাজধানীতে ভারী বর্ষণে সড়কে পানি জমতে দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার (১ জুন) ভোর থেকে ঢাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে।

সরোজমিনে দেখা যায়, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, সেতুভবন, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অফিসগামী আল-আমিন জানান, মগবাজারে অফিসের যাওয়ার জন্য আমার প্রতিদিন ২০ মিনিটেরমত সময় লাগে। কিন্তু রাস্তায় জায়গায় জায়গায় জলাবদ্ধতার করনে অফিসে পৌছতে ২ ঘন্টারমত সময় লেগেছে।

আল-আমিন আরও জানান, আমাদের জনগণের অসচেতনাতার কারণে রাজধানীতে জলবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। আমরা ইচ্ছেমত ময়লা-আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলি। ফলে জলবদ্ধতার দেখা দেয়।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের উনিশ অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়। এছাড়া আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন হতে পারে।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়।