যোগীরাজ্যে বিজেপিতে ‘অন্তর্কলহ’!

যোগীরাজ্যে বিজেপিতে ‘অন্তর্কলহ’!

যোগীরাজ্যে বিজেপিতে ‘অন্তর্কলহ’!

ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরপ্রদেশে অশনি সঙ্কেত পেয়েছে বিজেপি! প্রশাসনের মানুষের ক্ষোভের পাশাপাশি শাসকদলের বিধায়কদের মধ্যেও অসন্তোষ বাড়ছে। বছর ঘুরলেই গোবলয়ের এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হাওয়া খারাপ বুঝে দুদিনের সফরে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও একান্তে বৈঠক করলেন মন্ত্রী ও দলের নেতাদের সাথে।২০১৭ সালে লখনউয়ের মসনদে বসার পর এই প্রথম দলের হাইকমান্ডের সাথে এই ভাবে একান্তে বৈঠক করলেন যোগী।

রাজ্যের করোনা মোকাবিলা নিয়ে ব্যর্থতার গুঞ্জন সর্বত্র। মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েছেন দলীয় বিধায়ক-সাংসদরাও। সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে জনসমক্ষে সরব তারাও। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা ধাক্কা খেয়েছে যোগীর। তার পর গোদের উপর বিষফোড়ার মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। অযোধ্যা-বারাণসীর মতো শক্ত ঘাঁটিতে শোচনীয় ফল হয়েছে পদ্মশিবিরের। তাতেই চিন্তার ভাঁজ হাইকমান্ডের কপালে।

পঞ্চায়েত ভোটের ধাক্কা সামলাতে রাজ্য মন্ত্রিসভায় একাধিক পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, সন্তোষ সমস্ত মন্ত্রীদের কাছ থেকে তাদের দফতরের পারফরম্যান্স জানতে চান। করোনা মোকাবিলায় কেমন কাজ হয়েছে, এখনো কোনো কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি, আরো কী কী উপায়ে জনসংযোগ বাড়ানো যায় এসব নিয়ে আলোচনা করেছেন মন্ত্রীরা। তবে হাইকমান্ডের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা, সরকারের সাথে দলের দূরত্ব বাড়া। প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের অভাব দলীয় নেতা-কর্মীদের। আর আমলাতন্ত্রের উপর দলীয় নেতৃত্বের ক্ষোভ চিন্তার কারণ।

সোমবার যোগীর বাসভবনে গিয়ে তার সাথে বৈঠক করেন সন্তোষ। আজ মঙ্গলবার দুই উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা এবং কেশব প্রসাদ মৌর্যের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা।

দলীয় সূত্রের খবর, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের মধ্যে ফাঁকফোকড় খুঁজে তা মেরামতির চেষ্টা করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আগে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাধারণত দলীয় বৈঠক হতো। এখন শীর্ষ নেতৃত্ব আলাদা আলাদা ভাবে সবার সাথে বৈঠক করে তাদের মতামত নিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের ফল আরো বেশি করে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস