ভাই-বোনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরু দায়িত্ব নিতে হবে মা-কেই

ভাই-বোনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরু দায়িত্ব নিতে হবে মা-কেই

দুই বাচ্চাকে এক সঙ্গে বড় করতে হলে বিশেষ কয়টি জিনিস মাথায় রাখতে হবে

মারিয়া ও সাদি, ভাইবোনের মধ্যে বয়সের ফারাক মাত্র ২ বছর। পিঠোপিঠি হওয়ার দরুন যত ভাব তত মার পিঠ। দুজনকে সামলাতে গিয়ে প্রায়শই হিমশিম খেতে হয় বাড়ির লোকেদের। মাঝে, মধ্যে মারপিট করে এমন অবস্থা করে যে ভয় প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড় হয় মায়ের।

ছোট বয়সে এমন দুষ্টুমি সব বাচ্চারাই করে। বড় ভাই বা বোনের সঙ্গে মারপিট, খুনশ্যুটি করেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দায়। ভাই বোনের মধ্যে রাগ, অভিমান, ভালোবাসা সবই হবে। কিন্তু, এই রাগ যাতে হিংসার দিকে না চলে যায় তা দেখার দায়িত্ব মা-বাবার। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মা-বাবার ভুল কাজের জন্য ভাই-বোনের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন করার আগে সতর্ক হন। দুই বাচ্চাকে এক সঙ্গে বড় করতে হলে বিশেষ কয়টি জিনিস নজরে রাখতে হবে। মনে রাখবেন, ভবিষ্যতে ভাই-বোনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরু দায়িত্ব মায়ের কাঁধে।

১. কখনোই কোনও বিষয়ে দুজনের তুলনা করবেন না। হতেই পারে আপনার একটি বাচ্চা পড়াশোনায় ভালো, অন্যজন খারাপ। তাই বলে, একজনের সঙ্গে অন্যের তুলনা করা উচিত নয়। এতে বাচ্চার মধ্যে আত্মবিশ্বাস কমে যায়।

২. ওদের ঝগড়ার মাঝে হস্তক্ষেপ করবেন না। ওদের ঝামেলা ওদের মেটাতে দিন। মারপিট করলে নিশ্চই থামাবেন। কিন্তু, কেন দুজনের ঝগড়া হল, কী করলে তা সমাধান হবে- এসব বিষয় থেকে যত দূরে থাকবেন বাচ্চার জন্য ভালো। নিজের সমস্যা নিজেরা মেটাতে পারলে তবেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

৩. দুজনকে সমান ভালোবাসা দিন। ছোট ভাই বা বোন জন্মানে বড়জনের মনে হয় তার ভালোবাসা ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বাচ্চা একাকীত্বে ভোগে। এই একাকীত্ব পরে বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই খেয়াল রাখুন আপনি কাউকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না তো। দুজনকে সমান ভাবে ভালোবাসুন। উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই সমীকরণ মাথায় রাখবেন। দুজনকে দুজনের বিষয় যোগ করুন। দেখবেন সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। -কোলকাতা২৪