চাটমোহরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

চাটমোহরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

চাটমোহরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩-

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাবনার চাটমোহরে এক স্কুলছাত্রী (১৬) কে ধর্ষণ ও ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত কথিত প্রেমিক ও তার সহযোগী এক নারীসহ ৩ জনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়ের পর থেকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে ও স্কুলছাত্রীর কথিত প্রেমিক সাজেদুল ইসলাম (৩৬) ও তার সহযোগী পাবনার ফরিদপুর উপজেলার রামনগর উত্তরপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী ও চাটমোহর পৌরসভার নারিকেলপাড়া মহল্লার নিজাম উদ্দিনের ভাড়াটিয়া সাহেদা খাতুন (৪২)।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃতদের পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কাম পাবনা আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথিতে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে নাটোরের বড়াইগগ্রম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের জৈনক ব্যক্তির মেয়ে ও শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেম হয় সাজেদুল ইসলামের।

গত ১৬ জুন সকালে সাজেদুল ওই স্কুলছাত্রীকে চাটমোহরে আসতে বলে। স্কুলছাত্রী চাটমোহরে আসলে সাজেদুল তাকে পৌর শহরের নারিকেলপাড়া মহল্লায় নিজাম উদ্দিনের ভাড়াটিয়া ও তার আত্মীয় সাহেদা খাতুনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে তা ভিডিও ধারণ করে। ওই স্কুলছাত্রী বিয়ের কথা বললে তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

স্কুলছাত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির বিষয়টি জানতে বাড়ির মালিক নিজাম উদ্দিনসহ অন্যরা এগিয়ে যায়। খবর দেয়া হয় ওই স্কুলছাত্রীর পিতা-মাতাকে। এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীলে উদ্ধার করাসহ আটক করে ৩জনকে। স্কুলছাত্রীর মা চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৬।

চাটমোহর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাসান বাশীর জানান, মামলা হওয়ার পর ২জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলায় মাশলাটি এখন ধর্ষণের মামলায় রুপান্তরিত হলো বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।