সাউদাম্পটনে ভারত অলআউট ২১৭ রানে

সাউদাম্পটনে ভারত অলআউট ২১৭ রানে

সাউদাম্পটনে ভারত অলআউট ২১৭ রানে-

ভারত প্রথম ইনিংস: ৯২.১ ওভারে ২১৭/১০ (রাহানে ৪৯, বিরাট ৪৪, জেমিসন ৫/৩১)

আরসিবিতে তিনি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সতীর্থ। চলতি বছরের এপ্রিলে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের ম্যাচ গুলিতেও বিরাটের অধিনায়কত্বেই খেলেছিলেন। তবে নেটে আবার বিরাটকে ডিউক বলে বোলিংও না করে তিনি শিরোনামেও এসেছিলেন। এই তিনি আর কেউ নন, কিউয়ি পেসার কাইল জেমিসন। সাউদাম্পটনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এই জেমিসনের দৌলতেই প্রথম ইনিংসে ভারতকে ২১৭ রানেই অলআউট করে দিল নিউজিল্যান্ড। আজিঙ্ক রাহানে বা বিরাট কোহলি লড়াই করলেও একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে ফেললেন এই কিউয়ি বোলার।

বৃষ্টি কারণে ভেঙে প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনেও পুরো খেলা শেষ করা যায়নি। সেই তুলনায় তৃতীয় দিনে আবহাওয়া অনেকটাই পরিষ্কার। এদিন নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরু হয়। ৩ উইকেটে ১৪৬ রান থেকে খেলা শুরু করে ভারত। কিন্তু দিনের প্রথম কয়েক ওভারের মধ্যেই ফিরে যান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৪৪)। তাঁকে আউট করেন আরসিবি সতীর্থ জেমিসনই। যদিও ভারত অধিনায়ককে আউট করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কুরুচিকর মন্তব্য করতে শুরু করে দেন কয়েকজন ভারতীয় সমর্থক। যা নিয়ে আবার বিতর্কও শুরু হয়।

যদিও মাঠের বাইরে আক্রমণের শিকার হলেও বাইশ গজের লড়াইয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কার্যত বিব্রত করে দেন এই কিউয়ি বোলার। কোহলিকে আউট করার কয়েক ওভার পরে ঋষভ পন্থকেও ফেরান জেমিসনই। যদিও এক্ষেত্রে বেশিরভাগ দোষটাই বলা যেতে পারে পন্থের। অধিনায়ক আউট হয়ে গেলেও উলটোদিকে লড়াই চালাচ্ছিলেন সহ-অধিনায়ক আজিঙ্ক রাহানে। কিন্তু তিনিও অর্ধ-শতরান করার মুখেই আউট। ওয়াগনারের বলে ৪৯ রান করে লাথামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহানে। এরপর লাঞ্চের আগেই অশ্বিনের (২২) উইকেট হারায় ভারত। তাঁকে আউট করেন টিম সাউদি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর অবশ্য পুরোটা জেমিসন ম্যাজিক। পরপর দু’বলে ফেরান ইশান্ত (৪) এবং বুমরাহকে (০)। শেষে বোল্টের বলে জাদেজা আউট হন ১৫ রান করে। সবমিলিয়ে ভারতের ইনিংস শেষ হল ৯২.১ ওভারে ২১৭ রানেই। ২২ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট জেমিসনের। অন্যদিকে, ওয়াগনর এবং বোল্ট দুটি ও সাউদি একটি উইকেট পান। -সংবাদ প্রতিদিন