দুর্দান্ত জয়ে নক-আউটে ডেনমার্ক

দুর্দান্ত জয়ে নক-আউটে ডেনমার্ক

শক্তিশালী রাশিয়াকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে নক আউটে ডেনমার্ক

 এ যেন ফিনিক্সের প্রত্যাবর্তন। স্রেফ হার নামা মানসিকতা আর সতীর্থের জন্য কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা ইউরো কাপের নক-আউট পর্বে পৌঁছে দিল ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের ডেনমার্ককে । আন্দ্রেস ক্রিশ্চিয়ানসন বা জোয়াকিম মেহলরা যখন ড্যানিশ জার্সি গায়ে তৃতীয় এবং চতুর্থ গোল করলেন তখন হয়তো সদ্য হৃদরোগের ধাক্কা সামলে ওঠা এরিকসনের হৃদস্পন্দন মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সতীর্থরা যে এভাবে তাঁকে উপহার দেবে, হয়তো ভাবতেও পারেননি ডেনমার্কের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার।

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই দলের সেরা অস্ত্র এরিকসন হৃদরোগে আক্রান্ত হন। শুরু হয় যমে-মানুষে টানাটানি। এরিকসনকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনা যাবে তো? গোটা বিশ্বের ফুটবল মহল যখন উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগে প্রহর গুণছিল, তখনও খেলতে হয়েছে তাঁর সতীর্থদের। সতীর্থের চিন্তা নিয়ে খেলতে নেমে হারতে হয়েছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধেও। বেলজিয়াম ম্যাচের আগেই এরিকসনের সুস্থতার খবর আসে। দল যেন নতুন উদ্যমে নামে। তবে, বিশ্বের এক নম্বর দলের বিরুদ্ধে সেদিন জয় আসেনি। ডেনমার্ক মন জিতলেও , পয়েন্ট পায়নি। যার ফলে শেষ আটের অঙ্ক অতন্ত কঠিন হয়ে গিয়েছিল ডেনমার্কের।

নক-আউটে যেতে হলে শেষ ম্যাচে রাশিয়াকে হারাতে হত ২ তা তার বেশি গোলের ব্যবধানে। সেই সঙ্গে বেলজিয়ামের কাছে হারতে হত ফিনল্যান্ডকেও। অনেকেই ধরে নিয়েছিল এরিকসনহীন ডেনমার্কের পক্ষে এ অসাধ্যসাধন সম্ভব নয়। কিন্তু সোমবার শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের সেরাটা বের করে আনলেন ড্যানিশরা। এরিকসনের দেশ জিতে গেল ৪-১ গোলের ব্যবধানে। গোল করলেন মিকেল ডামসগো, ইউসুফ পলসেন, আন্দ্রেস ক্রিশ্চিয়ানসন ও জোয়াকিম মেহল। অন্যদিকে বেলজিয়াম ২-০ গোলে হারাল ফিনল্যান্ডকে। ফলে বেলজিয়াম শীর্ষ স্থানে এবং ডেনমার্ক দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল।

আসলে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আবেগে ফুটছিলেন ড্যানিশরা। ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারিতে দেখা যায় বিশাল ডেনমার্কের জার্সি। যাতে এরিকসনের নাম এবং জার্সি নম্বর লেখা ছিল। সেই সঙ্গে দর্শকদের মধ্যে এরিকসনের নামের জয়ধ্বনি আরও তাতিয়ে তুলেছিল ফুটবলারদের। না থেকেও এরিকসন যেন অদৃশ্যভাবেই উপস্থিত ছিলেন গোটা ম্যাচে। শেষ আটে ওয়েলসের মুখোমুখি হবে ড্যনিশরা।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন