ইবিতে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি অস্থায়ীদের

ইবিতে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি অস্থায়ীদের

ইবিতে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি অস্থায়ীদের-

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আবারো আন্দোলন শুরু করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বুধবার (২৩ জুন) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিভিন্নভাবে দাবির কথা জানান তারা। পরে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সাত সদস্যের কমিটি করেছে প্রশাসন। 

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, দাবির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিলে পূর্ব থেকেই দাপ্তরিক ফাইল আটকে দেওয়াসহ আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন কর্মচারীরা। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর ও আমতলায় অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন দপ্তরের ফাইল আটকে প্রশাসনিক কাজে বাঁধা দেন বলে জানা গেছে। এ দিকে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্তি সদস্য মোতায়েন করা হয়। ফলে বন্ধ ক্যাম্পাসেও উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুপুরে বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলে কর্মচারীরা তাদের অবস্থান তুলে নেন। 

কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহবায়ক ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন ও শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম। এদিকে কর্মচারীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্তি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

জানা যায়, দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে ১০৭ জন কর্মচারী কাজ করে করছেন। তারা অস্থায়ী চাকুরিজীবী পরিষদ গঠন করে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি করে আসছেন। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিদের আশ্বাসে কাজ করে এলেও চাকরি স্থায়ীকরণের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তারা কোন বেতন পাচ্ছেন না। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণ করা হোক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, যারা চাকরি স্থায়ীকরণরে দাবি করে আসছে তারা আমাদের তালিকাভূক্ত কর্মচারী নয়। তারা দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে, তাই কাজ থাকলে তাদেরকে নেওয়া হবে এবং মজুরী দেওয়া হবে অন্যথায় নয় এটাই নিয়ম। তারা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি করতে পারেন কীভাবে? তবুও বিভিন্ন বিভাগে কতসংখ্যক পদ শূণ্য আছে এবং লোক লাগবে কীনা এসব বিষয় খোঁজ নেওয়া জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।