যশোরে ৮৫ ভাগ মানুষ ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত: ২৪ ঘন্টায় ১৪ জনের মৃত্যু

যশোরে ৮৫ ভাগ মানুষ ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত: ২৪ ঘন্টায় ১৪ জনের মৃত্যু

হাসপাতালে বেড ফাঁকা না থাকায় বাইরেই এভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে- ছবি: যশোর প্রতিনিধি

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে যৌথ বাহিনী তৎপর থাকলেও থামছেনা করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ জেলায় করোনা বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে ডেল্টা ভেরিয়েন্টকেই দায়ী করছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের পরীক্ষণ দলের সদস্য ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ । 

তিনি বলেন, জেলার ৮৫ শতাংশ রোগীই ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। এই ভেরিয়েন্টে সবার আগে মাথা ব্যথা, সর্দি,পরবর্তীতে গলায় ব্যাথা ও সর্বশেষে জ্বর আসে। এছাড়া এই ভেরিয়েন্টে মানুষের শ্বাস কষ্টের পরিমানও কম। সে কারণে মানুষ এটিকে সাধারন জ্বর, সর্দি, কাশি মনে করে। এই  ভেরিয়েন্টের মধ্যে ৪৭৮শ একটি মিউটেশন আছে তার স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশনের কারণে এটি ফুসফুসের সেল গুলিতে অনেক বেশী আটকে থাকতে পারে। সেখানে তার বংশ বৃদ্ধিটা বেশী হয়। ফলে অতি দ্রুত অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাস কষ্টে ভোগে মানুষ। 

তিনি আরও বলেন, গ্রাম এলাকায় সব ক্ষেত্রে অক্সিজেন মাপার মতো সুবিধা না থাকায় তারা অক্সিজেন লেভেল ৯০ বা তার নিচে আসার পর রোগীকে হাসপাতালে নেয়, ফলে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তাকে বাঁচানো অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। এই ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে ৮৫ ভাগ বেশী রোগীর হাসপাতালে যাওয়ার সম্ভাবনা এবং .৩(দশমিক তিন ভাগ) ভাগ মৃত্যু হার বেশী। এছাড়াও গ্রাম থেকে মানুষ হাসপাতালে মুমুর্ষ সময় গুলিতে আসার ফলে তাদেরকে অনেকক্ষেত্রে বাঁচানো সম্ভব হয়না। ডেল্টা ভেরিয়েন্টে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রবণতা বেশী থাকায় হাসপাতালও সব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনা রোগীকে সামাল দিতে।

এদিকে সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অনেক রোগী হাসপাতালের বাইরে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে অবস্থান করছেন।

জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় রেড জোনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন ৬ জন, ভর্তি আছেন ১৫৫। অপরদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে মারা গেছেন ৮ জন,ভর্তি আছেন ৮৮ জন। এছাড়া ৬৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।