মাহমুদউল্লাহর কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি, তাসকিনের প্রথম ফিফটি

মাহমুদউল্লাহর কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি, তাসকিনের প্রথম ফিফটি

মাহমুদউল্লাহর কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি, তাসকিনের প্রথম ফিফটি

হুট করেই টেস্ট স্কোয়াডে তার আগমন। এর আগে শেষ টেস্ট খেলেছেন সেই গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে। হারারেতে একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশের একাদশে ঢুকেই নিজের জাত চেনালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের প্রয়োজনে প্রথম টিকে থাকার লড়াই করলেন। এরপর পেয়ে গেছেন কাঙ্ক্ষিত দারুণ এক সেঞ্চুরিও। অন্যদিকে চমক দেখিয়ে হারারে টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

চার হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বুধবার প্রথম দিন শেষে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। দ্বিতীয় দিনে তাসকিনকে সাথে নিয়ে গড়েন শতরানের উপরে জুটি। ১৯৫ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান মাহমুদউল্লাহ।

প্রথম দিন শেষে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তাসকিন। দ্বিতীয় দিনে অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে খেলতে থাকেন তাসকিন। উইকেট না পরায় অনেকটা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন জিম্বাবুয়েন পেসার মুজারাবানি ও নাউচি। একবার তাসকিনের সাথে তো হালকা লেগেই গেল মুজারাবানির। এর কিছুক্ষণ পর নাউচির সাথে রিয়াদের। কিন্তু মেজাজ হারাননি রিয়াদ ও তাসকিন। খেলে গেছেন নিজেদের মতো। নবম উইকেটে দুজনে পঞ্চাশ রান তোলেন ৫৫ বলে। এরপর হয় শত রানের জুটিও।

মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির পর সিঙ্গেলস নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন তাসকিন। টেস্টে তাসকিনের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৩ রান। মজার ব্যাপার হলো ক্যারিয়ারে বাকি ১২ ইনিংসে দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি তাসকিন। জিম্বাবুয়েতে ব্যাট হাতে তাসকিন দেখালেন নিজের বিশেষত্ব।

এই প্রতিবেদন লেখা অবধি মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন দুজনই আছেন অপরাজিত। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৯৬ রান।