রূপগঞ্জের ঘটনা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি : হাইকোর্ট

রূপগঞ্জের ঘটনা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি : হাইকোর্ট

রূপগঞ্জের ঘটনা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি : হাইকোর্ট

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের (সেজান জুস) কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, হতাহতের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এটি সত্যিই মর্মান্তিক। আমরা এ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি। রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত আহতদের তালিকা প্রকাশ করে তাদের চিকিৎসার সুব্যবস্থার করতে বলেছেন। এ সময় নিহতদের লাশ শনাক্তের পর ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট।

এদিকে শনিবার রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস এর জুস ফ্যাক্টরিতে আগুনের ঘটনায় হতাহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে চারটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ই-মেইলে এই রিট আবেদন পাঠানো হয়েছে।মানবাধিকার সংগঠনগুলো হলো- আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট(ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি।

গত ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের জুসের কারখানায় আগুন লেগে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ জন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২৫ জন শ্রমিক।

এই হতাহতের ঘটনায় শনিবার রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রতিস্ঠানটির মালিক (সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক) আবুল হাসেম, তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম, তানজীম ইব্রাহীম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ ও প্রকৌশলী মো. আলাউদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এরইমধ্যে এই আট আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।