বিড়াল ছানা উদ্ধারে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস

বিড়াল ছানা উদ্ধারে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস

বিড়াল ছানা উদ্ধারে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস-

পাবনা প্রতিনিধি: একটি বিড়াল ছানা বাঁচাতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নিয়োগ হয়। মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে সড়কের গভীর ড্রেনে আটকে পড়া বিড়াল ছানাটি উদ্ধারে নিয়োজিত হয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। ওই দু’বাহিনী দু’ঘন্টা চেষ্টার পর বাঁচ্চাটি উদ্ধার করে। ঘটনাটি রোববার (১১ জুলাই) রাত ১২টার দিকে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার।

পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান তার ফেসবুক আইডিতে ঘটনাটি তুলে ধরেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শহরের শালগাড়িয়া ইংলিশ রোড দিয়ে যাবার সময় ড্রেনের মধ্যে একটি বিড়াল ছানার ডাক শুনতে পান সাংস্কৃতিক কর্মী রেজওয়ান শাহরিয়ার রাতিন। তিনি প্রাণিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ভয়েজ ফর ভয়েজলেস’র প্রতিষ্ঠাতা। রবিবার রাত দশটার দিকে তিনি ঘটনাটি উল্লেখ করে বিড়াল ছানাটিকে উদ্ধারে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে মুঠোফোনের মেসেজ পাঠান পাবনার পুলিশ সুপারকে। তিনি দ্রুত পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন বিড়াল ছানাটিকে উদ্ধার করতে।

এরপর পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন ইয়াজদানী পুলিশের একটি টিম ও দমকল বাহিনীর একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টায় ড্রেনের মধ্যে আটকে পড়া বিড়াল ছানাটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

এ বিষয়ে রওশন ইয়াজদানী বলেন,‘পুলিশ তার নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অনেক মানবিক কাজ করে থাকে। এটি তারই একটি অংশ’ । 
‘ভয়েজ ফর ভয়েজলেস’র প্রতিষ্ঠাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার রাতিন বলেন,‘ বিপদগ্রস্থ প্রাণিকে উদ্ধার করা আমাদের সংগঠনের অন্যতম লক্ষ্য। তাই ওই সড়ক দিয়ে যাবার সময় ড্রেনের মধ্যে বিড়াল ছানার ডাক শুনে এড়িয়ে যেতে পারেনি। ড্রেনের স্লাবও ভাঙতে দিচ্ছিলেন না স্থানীয়রা। তাই পুলিশ সুপারের স্মরণাপন্ন হয়েছিলাম’।

পাবনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো: জাকির হোসেন বলেন,‘দেশের যেকোনো দুর্যোগ, দু:সময়ে দমকল বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে। তেমনি যেকোনো প্রাণি বিপদে পড়লে তাকে উদ্ধারের ক্ষেত্রেও একইভাবে মমত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে যাই। বিড়াল ছানা উদ্ধারকাজও তারই অংশ। এমন কাজ করতে মনের মধ্যে আলাদা স্বস্তি মেলে’।

এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রাণ বাঁচানোর মালিক আল্লাহ। একটি ছোট বিড়াল ছানা তারও দেহে প্রাণ আছে। ছানাটিকে উদ্ধার করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমরা শুধু সেই দায়িত্বটুকু পালন করেছি। এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য রেজওয়ান শাহরিয়ার রাতিন, সদর থানার ওসি সহ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’।

ঐ এলাকাবাসী পুলিশ সুপারের তড়িৎ সিদ্ধান্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ছোট একটি প্রাণি বাঁচাতে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন; তা ভুলার নয়’।