স্বস্তি বাড়িয়ে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ কমল অনেকটাই

স্বস্তি বাড়িয়ে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ কমল অনেকটাই

স্বস্তি বাড়িয়ে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ কমল অনেকটাই-

চলমান করোনা মহামারিতে ভারতে ভাইরাসে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় কমেছে প্রায় ১০ হাজার। ভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশটির জন্য এটি বড় সাফল্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় মৃত্যু অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে দেশটিতে বেড়েছে সুস্থতার হার। ফলে কমেছে সক্রিয় রোগীও।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৪৯ জন। সোমবার যা ছিল ৪০ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৪২২ জনের। সোমবারও এই সংখ্যা একই ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩৮ হাজার ৮৮৭ জন। তবে একদিনে টিকাকরণের হার খুবই কম, যা চিন্তায় রাখছে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ একেবারে শিয়রে। এরইমধ্যে দেশের কোভিড ওঠাপড়া অব্যাহত। ৩০ থেকে ৪০হাজারের কোঠায় ঘোরাফেরা করছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও কখনও ঊর্ধ্বমুখী, কখনও নিম্নমুখী। এই মুহূর্তে দেশের অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪ হাজার ৯৫৮। কোভিডের ছোবলে মোট মৃত্যু হয়েছে দেশের ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ১৯৫ জনের। তবে এই সব পরিসংখ্যানের মাঝে চিন্তা খানিকটা বাড়াল টিকাকরণের নিম্নহার। সোমবার টিকাকরণ হয়েছিল ৪৭ কোটি ২২ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৯জনের। আর মঙ্গলবার তা বাড়ল সামান্যই। এদিনের হিসেব বলছে, মোট টিকাপ্রাপকের সংখ্যা  ৪৭ কোটি ৮৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ১১৪। অর্থাৎ একদিনে টিকা পেয়েছেন ৬১ হাজারের সামান্য বেশি। 

কোভিডের একাধিক নতুন স্ট্রেনের দাপট বাড়ছে বিভিন্ন জায়গায়। এমনকী বাংলার বেশ কয়েকটি জেলাতেও ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলছে। তবে ভাইরাসের এসব মিউট্যান্ট স্ট্রেনের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন । এমনই দাবি করেছে ICMR। অথচ কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সর্বত্র সমানভাবে তা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কোভ্যাক্সিন প্রাপকদের অনেকেই এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাননি। ভ্য়াক্সিনের জোড়া ডোজ মহামারীর তৃতীয় ধাক্কা অনেকটাই সামলাতে পারবে বলে আশা বিশেষজ্ঞ মহলের। 

 সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন