বাংলাদেশের টার্গেট ১২২ রান

বাংলাদেশের টার্গেট ১২২ রান

ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও দারুণ বোলিং করলো বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ১২১ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পেরেছে মোস্তাফিজরা। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের দরকার ১২২ রান।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকে ধীরে-সুস্থে এগিয়েছে তারা। কিন্তু শেষটা সুখের হয়নি তাদের। বাংলাদেশের বোলারদের নিখুঁত বোলিংয়ে খুব অল্প রানই করতে পারলো দলটি।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার আলেক্স কেরিকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান স্পিনার মেহেদী হাসান। ২.৩ ওভারে মেহেদীর বলকে ছক্কা বানাতে চেয়েছিলেন কেরি। কিন্তু ব্যাটে বলে সেই সমন্বয় হয়নি। ক্যাচ উঠে যায় শর্ট লং অফে। আর তা খুব সহজেই তালুবন্দী করেন নাসুম আহমেদ।

এরপর মোস্তাফিজের দুর্দান্ত স্লোয়ার কাটারে অসহায় বোল্ড হন আরেক ওপেনার জশ ফিলিপ। ৫.৪ ওভারে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে স্লোয়ার ছাড়েন মোস্তাফিজ। তাতে পুরো ধন্দে পড়ে যান ফিলিপ। পুল করতে গিয়ে হয়ে যান বোল্ড। ১৪ বরে ১০ রান করে তিনি ফিরেন সাজঘরে।৩১ রানে দুই উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে তখন পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন মার্শ ও হেনরিকস। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৮৮ রান অবধি। এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। বোল্ড করেন ২৫ বলে ৩০ রান করা হেনরিকসকে।

এরপর থেকেই যেন পথ ভুলে যায় অস্ট্রেলিয়া। টপাটপ উইকেট পড়তে থাকে। দলীয় ৯৯ রানে আউট হন মিচেল মার্শ। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তিনি করেন ৪৫ রান। পাঁচটি চার হাঁকালেও তিনি পারেননি ছক্কা মারতে।মার্শের বিদায়ের পর আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। ১৮তম ওভারে টানা দুই বলে অজি ক্যাপ্টেন ওয়েড ও অ্যাগারকে তুলে নেন মোস্তাফিজ। টার্নারকে ফেরান শরিফুল। ৭ উইকেটে ১২১ রান করতে পারে অস্ট্রেলিয়া।

৪ ওভারে ২৩ রানে তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজ। সেখানে ২৭ রানে দুই উইকেট নেন আরেক পেসার শরিফুল। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় স্পিনার নাসুম পাননি উইকেটের দেখা। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ২৯ রান। মেহেদী হাসান ৩ ওভারে ১২ রানে পান এক উইকেট। ৪ ওভারে ২২ রানে এক উইকেট পান সাকিব।প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে জয় নিয়ে সিরিজের এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।