ভারত ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

ভারত ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

ভারত ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে ভারতে যাওয়ার শর্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এসে পৌঁছেছে। ওই আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথে ভারত ভ্রমণে আরোপিত শর্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে আখাউড়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।বুধবার দুপুরে আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল হামিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, করোনা (কোভিড) পরিস্থিতিতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী যাত্রীদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে অনুমতি দেয়া হতো। এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

চিকিৎসাসহ অন্য ক্যাটাগরিতে চালু থাকা ভিসায় ভারত যাওয়া যাবে। এ জন্য আগের মতোই আরটিপিসিআর টেস্ট সার্টিফিকেট থাকা লাগবে।

এদিকে সম্প্রতি ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশী যাত্রীদের জন্য ভারতের ভিসা অফিস খুলে দিলেও টুরিস্ট ভিসা এখনো বন্ধ রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে বুধবার ৪টা পর্যন্ত ১২ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতগমন করেন। শর্ত প্রত্যাহার হওয়ায় এ পথে যাত্রীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

শর্ত অনুযায়ী ভারত ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতি যাত্রীকে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ অবশ্যই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র আনতে হবে। ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে যাদের দু’টি টিকা নেয়া আছে, তাদের দেশে ফিরে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। তবে যারা একটি টিকা নিয়েছেন তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ১৪ দিনের জন্য ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। পরে কয়েক দফা তা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ থাকে। তবে এ সময়ে বাংলাদেশ-ভারত আমদানি রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম সচল ছিল। আর বিশেষ অনুমতি নিয়ে চিকিৎসা ভিসার পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারতে যেতে পারতেন। ওই অনুমতির শর্ত তুলে নেয়ায় কার্যত খুলেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত।