রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের অঙ্গীকার মিয়ানমারের প্রবাসী সরকারের

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের অঙ্গীকার মিয়ানমারের প্রবাসী সরকারের

ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক বাহিনীর নিপীড়ন এবং সংঘটিত সকল অপরাধের ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রবাসী সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার এবং অত্যাচারের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে প্রকাশ এনইউজি। বিবৃতিতে বলা হয়, সত্য এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। তারা বিশ্বাস করে পূর্বের অপরাধের বিচার হলে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন নৃশংসতা করার সাহস পাবে না।

এনইউজি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের সকল মৌলিক অধিকারের সাথে এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে প্রত্যাবাসন করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।তারা বিশ্বাস করে, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনটি নতুন করে বাতিল করার ফলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

রোহিঙ্গা নীপিড়নের এবারের বার্ষিকীতে, এনইউজি ফেডারেল ডেমোক্রেটিক চার্টারে অন্তর্ভুক্ত মৌলিক নীতির প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মৌলিক মানবাধিকার এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা। সেইসাথে তারা এমন একটি ফেডারেল গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতার কখনোই পুনরাবৃত্তি হবে না।

বিবৃতিতে এনইউজি জানায়, তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে সকল জাতিগোষ্ঠী শান্তিপূর্ণভাবে একসাথে বসবাস করতে পারবে। দেশ ও সকল জাতিগোষ্ঠীর জন্য স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে তারা সকলের সাথে সেই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করছে।

সূত্র : ইউএনবি