খুলে দেয়া হলো তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ গেট

খুলে দেয়া হলো তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ গেট

খুলে দেয়া হলো তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ গেট

কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে  বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ। উজানের পানি নিয়ন্ত্রণ করতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন র্বোড।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী ঋতিষ প্রসাদ ঘোষ নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বন্যা পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে শুক্রবার তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে ৩৪, ঘাঘটের গাইবান্ধা পয়েন্টে ২০, ধরলার কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ১৮ এবং ব্রক্ষপুত্রের পানি চিলমারি পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারীর ডিমলা থেকে লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের তিস্তা অববাহিকা ও কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধার ঘাঘট, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় চরাঞ্চল নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি উঠেছে রংপুরের লক্ষ্মীটারীর বাগেরহাট আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ নোহালী, কোলকোন্দ, গজঘন্টা মর্নেয়া, কাউনিয়ার বালাপাড়া, টেপামধুপুর, পীরগাছার ছাওলা, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে। পানিবন্দি মানুষের যাতায়াত খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সঙ্কট বিরাজ করছে। সঙ্কট শুকনা খাবার এর। পয়ঃনিষ্কাশন এবং লেট্রিন ব্যবস্থাও ধসে পড়েছে।

এ ছাড়া তিস্তার সঙ্গে যুক্ত ছোট ছোট নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। কিছু কিছু স্থানে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয় নিচ্ছেন।  ভুক্তভোগী মানুষেরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়ায় মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।