পাবনার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে নৌকা ভ্রমণের নামে চলছে অশ্লীলতা

পাবনার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে নৌকা ভ্রমণের নামে চলছে অশ্লীলতা

পাবনার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে নৌকা ভ্রমণের নামে চলছে অশ্লীলতা-ছবি :নিউজজোন বিডি

পাবনা প্রতিনিধি:পাবনার সুজানগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিস্তীর্ণ গাজনার বিলে বর্তমানে নৌকা ভ্রমণ ও বনভোজনের নামে চলছে অশ্লীলতা ও অসামাজিক কার্যকলাপ। এতে ক্ষুব্ধ বিলপাড়সহ গাজনার বিলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মানুষেরা।

শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) গাজনার বিলের খয়রান ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ ভ্রমণ ও বনভোজনের নৌকার সামনে অশ্লীল পোশাকে নাচছেন নর্তকীসহ হিজড়ারা। আর এদের সঙ্গে নৌকায় নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করে ড্যান্স দিচ্ছেন তরুণ-যুবকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব নর্তকী ও হিজড়াদের অন্য জায়গা থেকে টাকা দিয়ে এনে অবৈধ এমন কর্মকা- চালায় ভ্রমণে ও পিকনিকে আসা যুবকরা। আর দিনে নাচের মাধ্যমে আনন্দ দিলেও রাতে ঘটছে অসামাজিক কার্যকলাপ।

এদিকে নর্তকী ও হিজড়া থাকা নৌকাগুলোর বেশিরভাগ অংশই ছাউনি দেওয়া। বিলের খয়রান ব্রিজ এলাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা নাজিরগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাদের হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ গাজনার বিলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে খয়রান ব্রিজ এলাকায় এ সময়ে প্রায় প্রতিদিন পাবনা শহরসহ অন্যান্য জেলা থেকেও শত শত মানুষ আসেন। কিন্তু নৌকায় আনন্দ ভ্রমণ ও পিকনিকের নামে চলা অশ্লীল কর্মকান্ডে সাধারণত পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মানুষদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।

সুজানগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, গাজনার বিলে নৌকা ভ্রমণ ও বনভোজনের নামে চলা অশ্লীলতায় ডুবছে যুব সমাজ। ফলে অভিভাবকরা উঠতি বয়সের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও ক্রমবর্ধমান নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তারা যুব সমাজকে রক্ষায় বিলে চলাচলকারী নৌকা বাঁশের ছই তোলা ও শামিয়ানা টাঙানো শ্যালোইঞ্জিন চালিত ভাসমান বনভোজনের এসব নৌকাতে গান-বাজনা নাচানাচি ও বিনোদনের অন্তরালে চলমান অশ্লীল কর্মকা- বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম জানান, গাজনার বিলে নৌকা ভ্রমণের নামে চলা অশ্লীল কর্মকা- বন্ধে পুলিশ দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ রওশন আলী জানান, গাজনার বিল ভ্রমণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা, শব্দদূষণ হয় এমন উচ্চস্বরে মাইক বা লাউড স্পিকার ব্যবহার না করা, অশ্লীলতা ও অসামাজিক কার্যকলাপ পরিহার করাসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে অতি দ্রুতই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হবে। যদি কোনো ব্যক্তি জারিকৃত নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে