আবরার হত্যা মামলা : রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত

আবরার হত্যা মামলা : রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত

আবরার হত্যা মামলা : রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামানের আদালতে দ্বিতীয় দিনে আজ রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ১৮ জন সাক্ষির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।এনিয়ে ৩৭ জনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

অন্য সাক্ষীদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।এর আগে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামানের আদালতে ১৯ জন সাক্ষির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া।

গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামানের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। এ মামলায় আরো তিন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন। একইসাথে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

নিহত আবরার ছিলেন বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত আরো ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো: অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো: মেহেদী হাসান রাসেল, মো: মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো: মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো: মনিরুজ্জামান মনির, মো: আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো: মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জনের মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সূত্র : বাসস