বাল্যবিবাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উত্তরণ ঘটাতে হবে: স্পিকার

বাল্যবিবাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উত্তরণ ঘটাতে হবে: স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কোভিডকালীন বিশ্বে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী সহিংসতা, বাল্যবিবাহের মতো উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে উত্তরণ ঘটাতে হবে। কন্যা সন্তানদের অস্বচ্ছল পিতা-মাতাদের আস্থাহীনতার কারণে করোনাকালীন বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি অভিভাবকদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

শনিবার ‘বাল্যবিবাহ ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। 

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ (বিএপিপিডি) এই পরামর্শ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘বাল্যবিবাহ ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক উপ-কমিটি’র আহ্বায়ক বেগম মেহের আফরোজ চুমকি। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে. এম. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, আরমা দত্ত এমপি, শিউলি আজাদ এমপি, শবনম জাহান এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি। প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব এম এ কামাল বিল্লাহ কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে কন্যা সন্তান তাদের জন্য বোঝা নয়। বর্তমান প্রেক্ষিতে কন্যা সন্তানদের এগিয়ে নিতে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম সবার প্রচেষ্টায় সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ  যথাযথ বাস্তবায়ন সম্পর্কে এরূপ কর্মশালা আয়োজন থেকে ধারণা পাওয়া যায়।