যশোর শিক্ষাবোর্ডে আড়াইলাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

যশোর শিক্ষাবোর্ডে আড়াইলাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

যশোর শিক্ষাবোর্ডে আড়াইলাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বিশেষ প্রতিনিধি (টি আই তারেক): চেক জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর শিক্ষাবোর্ডের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ঘঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। এই কেলেঙ্কারিতে নাম সর্বস্ব দুটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হয়েছে।

এর একটি হলো শিক্ষাবোর্ড অফিসের পাশে শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার মোবাইল ফোন লোডের দোকান ‘শাহীলাল স্টোর’ এবং অন্যটি ‘ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং’। 

বোর্ডের কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দাবি, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেনের ছত্রছায়ায় বোর্ডের দুই কর্মচারী এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। 

অবশ্য, অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এতে জড়িতরা শনাক্ত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, যশোর শিক্ষাবোর্ড অ্যামপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু দাবি করেছেন, এ দুর্নীতির সাথে হিসাব বিভাগের লোকজনের সাথে চেয়ারম্যানও জড়িত। সুষ্ঠু তদন্ত করলে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। তিনি চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার করে সৎ ও যোগ্য একজন চেয়ারম্যানকে পদাযন করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি দাবি করেন।

অপরদিকে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, তদন্তে জড়িতরা শনাক্ত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে তাদের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।