তাইওয়ানকে 'একীভূত' করার অঙ্গীকার চীনা প্রেসিডেন্টের

তাইওয়ানকে 'একীভূত' করার অঙ্গীকার চীনা প্রেসিডেন্টের

তাইওয়ানকে 'একীভূত' করার অঙ্গীকার চীনা প্রেসিডেন্টের

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাইওয়ানকে পুনরায় চীনের মধ্যে 'একীভূত' করে নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। শনিবার রাজধানী বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব পিপলে চীনের শিনহাই বিপ্লবের ১১০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই অঙ্গীকার করেন তিনি।১৯১১ সালে চীনের শিনহাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটিতে রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান হয় এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে শি জিনপিং বলেন, 'তাইওয়ানের স্বাধীন বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব আমাদের মাতৃভূমির একীভূত করার পথে বড় বাধা। একইসাথে জাতীয় প্রেরণার জন্য এটি গুরুতর গোপন বিপদ।'চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়াতে জানানো হয়, শি জিনপিং অনুষ্ঠানে বলেন, 'আমাদের দেশের একীভূতকরণ সম্পূর্ণ হবে এবং তা সম্ভব।'

শি জিনপিং বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে 'একীভূতকরণ' তাইওয়ানের জনগণের স্বার্থকে পূরণ করবে।তবে চীন তার সার্বভৌমত্ব ও একতাকে রক্ষা করবে বলে তিনি বলেন, 'কারোরই উচিত হবে না চীনা জনগণের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষায় একনিষ্ঠ সংকল্প, দৃঢ় ইচ্ছা ও শক্তিশালী সক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন করা।'

এর আগে জুলাইয়ে তাইওয়ানকে চীনের সাথে একীভূত করার প্রসঙ্গে শনিবারের বক্তব্যের চেয়ে জোরালো কথা বলেন শি জিনপিং। ওই বক্তব্যে তিনি তাইওয়ানের স্বাধীনতার যেকোনো প্রচেষ্টাকে 'গুড়িয়ে দেয়ার' অঙ্গীকার করেন।তারও আগে ২০১৯ সালে 'শক্তি ব্যবহার করে' তাইওয়ানকে চীনের অধীনে নিয়ে আনার ঘোষণা দেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে পরপর চারদিন তাইওয়ানের আকাশ সীমায় হানা দিয়েছে চীনের বিমানবাহিনী। চীনের এই পদক্ষেপে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তাইওয়ানের সরকার।তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেঙ চ্যাঙ বলেন, চীন তার পেশিশক্তি প্রদর্শন করছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, 'এই কারণে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ্বাসী দেশগুলো একসাথে কাজ করছে এবং চীনকে তাইওয়ানে হামলা না করার জন্য বারবার সতর্কতা করছে।'

১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর দেশটির ক্ষমতাচ্যুৎ জাতীয়তাবাদী সরকার তাইওয়ানে অবস্থান নেয়। ওই সময় তাইওয়ান চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন থেকেই দ্বীপ দেশটি স্বাধীনভাবে শাসিত হয়ে আসছে। তবে চীন সবসময়ই তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে।

সূত্র : আলজাজিরা