তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত, চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত, চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত, চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাটের তিন উপজেলার তিস্তার চর এলাকায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে তিস্তার পানি ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, পাটগ্রামের দহগ্রাম, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া অনেক এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম এলাকার কামাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত থেকে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় ধানক্ষেতসহ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে অনেক পরিবার উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।